নিজস্ব প্রতিবেদন- গণতান্ত্রিকভাবে না পারলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে খুন করে বাংলা দখল করতে পারে বিজেপি। কিছুদিন আগে তাঁর এমন বিস্ফোরক দাবিতে রাজ্য-রাজনীতি তোলপাড় হয়েছিল। পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় যে কোনও পরিস্থিতিতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশেই ছিলেন, আছেন। শুভেন্দু অধিকারী দল ছাড়ার পরও সুব্রত জোর গলায় বলেছিলেন, তৃণমূলের তাতে কিছুই যাব-আসবে না। শুভেন্দু কেন, তিনি দল ছাড়লেও তৃণমূলে কোনও প্রভাব পড়বে না। এত বড় দলের কয়েক কোটি সমর্থক। বাংলার মানুষ ভিড় করে থাকবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে। জোরালো দাবিতে বলেছিলেন তিনি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

অমিত শাহের বোলপুর সফরের দিনে ফের তৃণমূল সুপ্রিমোর হয়েই গলা ফাটালেন বর্ষীয়াণ নেতা। রবিবার সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, ''মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোনওদিন দলবদল করেনি। ১৯৯৮ সালে কংগ্রেস ছেড়ে নিজের দল প্রতিষ্ঠা করেছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেটাকে দলবদল বলে না। অমিত শাহর মতো একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সেটা জানা উচিত ছিল। বারবার বাংলায় এসে একটা দল যদি তৃণমূলকে অপমানজনকভাবে উপেক্ষা করার চেষ্টা করে তা হলে আমরা অবশ্যই প্রতিবাদ করব। রাজ্য সরকারের নামে একের পর এক মিথ্যে কথা বললে আমরা চুপ করে বসে থাকব না। বাংলার মানুষ এই বঞ্চনার জবাব বিজেপিকে দেবে।''  


আরও পড়ুন-  সাড়ে ৩ বছর পর পাহাড়ে আজ Bimal Gurung, Darjeeling এ সভা ঘিরে তুঙ্গে উদ্দীপনা


সুব্রত মুখোপাধ্যায় এদিন আরও বলেন, ''দেশের প্রধানমন্ত্রী বারবার দাবি করেছেন, তাঁর সরকার নাকি বাংলাকে ধান, শস্য দিয়েছে। কিন্তু তৃণমূলের কর্মীরা সেই ধান, শস্য রাজ্যবাসীকে দেয়নি। নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নিয়েছে। কিন্তু আসল সত্যি অন্য। মমতার সরকার রাজ্যের দশ কোটি মানুষকে বিনামূল্যে রেশন দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিল। মহামারীর সময় দেশের কোনও রাজ্য সরকার মানুষের জন্য এমন ব্যবস্থা করতে পারেনি। মমতার সরকার যেটা করেছে তা ভারতের ইতিহাসে লেখা থাকবে। কেন্দ্র দাবি করেছে, আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের সুবিধা তারা বাংলার জনগণকে দিতে চেয়েছে। কিন্তু তৃণমূল নাকি রাজ্যে তা চালু করতে দেয়নি। এই রাজ্যে দেড় কোটির বেশি মানুষ বার্ষিক ৫ লাখ টাকা করে স্বাস্থ্যসাথীর সুবিধা পেয়েছেন। তৃণমূল সরকার কেন্দ্রের উপর নির্ভর করে ছিল না। অমিত শাহ হোম মিনিস্টার। এত বড় পদে থেকে ভুল তথ্য দিলে আমরা প্রতিবাদ করব। বাংলার মানুষও প্রতিবাদ করবে।''