জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: জয়নগরের খুনকাণ্ডে তুঙ্গে সওকত-সুজন তরজা। তপ্ত বামনগাছিতে দাঁড়িয়ে অশান্তিতে ইন্ধন জোগানোর অভিযোগে সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর দিকে ইঙ্গিত করলেন তৃণমূল বিধায়ক সওকত মোল্লা। জি ২৪ ঘণ্টার আপনার রায় অনুষ্ঠানে সুজন চক্রবর্তীর দাবি ‘প্রমাণ থাকলে গ্রেফতার করুক’।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক সওকত মোল্লার দাবি, ‘আমরা যেটুকু শুনেছি যে একজন সুপারি কিলার যখন ধরা পরেছিল সে বলছিল তাদেরকে যে সুপারি দিয়ে এখানে নিয়ে আসা হয়েছে এর পিছনে মাথা কারা। এর মাথা হয়তো বারুইপুরেই কেউ বসে আছে। সিপিআইএম-এর পার্টি অফিসে যারা আজকে পিছন থেকে নিজেদেরকে এই ঘটনা থেকে আড়াল করার জন্য তৃণমূল কংগ্রেসের ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছে’।


এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে জি ২৪ ঘণ্টার আপনার রায় অনুষ্ঠানে বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘আমি সওকত মোল্লার কথার উত্তর দেওয়ার প্রয়োজন বোধ করিনা’।


আরও পড়ুন: Saokat Molla: বিধায়ক শওকত মোল্লাকে খুনের হুমকি!


পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, ‘পুলিসের ঘেরাটোপে, জেড ক্যাটাগরি। মুখ্যমন্ত্রী উত্তর দিন যে মুখ্যমন্ত্রীর জেড ক্যাটাগরি প্রাপ্ত নেতা কে আর কেন। এবং কেন আজে বাজে কথা বলার লাইসেন্স তাকে দেওয়া হয়েছে’।


তিনি বলেন, ‘আমার কাছে ভেরি সিম্পল, মুখ্যমন্ত্রী যেমন গত ১২ বছর ধরে আমাদের অনেককেই নানাবিধ ভাবে আক্রান্ত বা গ্রেফতার করার চেষ্টা করেছেন, কাকে বাদ দিয়েছেন? বুদ্ধদা থেকে শুরু করে আমি পর্যন্ত বা তোলার কর্মী পর্যন্ত। ১২ বছর! চ্যালেঞ্জ করছি আমাকে গ্রেফতার করুন। যদি এমনটা হয় কিছু তথ্য প্রমাণ বা ইত্যাদি ইত্যাদি থাকে, চ্যালেঞ্জ করছি, করুন। আজে বাজে কথা কমিউনিকেট করার জন্য মিডিয়াকে যদি কেউ ব্যাবহার করেন সেটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক।


আরও পড়ুন: Bhatar: বিসর্জনের আগেই দুঃসাহিক কাণ্ড ৩ কালী মন্দিরে!


এলাকার তৃণমূল সংগঠনের অঞ্চল সভাপতির দায়িত্বও সামলাতেন সৈফুদ্দিন৷ যথেষ্ট জনপ্রিয় ছিলেন বলেও দাবি তৃণমূল সূত্রের। ৪-৫ দিন ধরে গতিবিধিতে নজর রেখেছিল দুস্কৃতীরা। এসবের মূল চক্রী কে? রহস্যভেদে জোর পুলিসের। বাড়ি থেকে ঢিলছোড়া দূরত্বে মসজিদে নমাজ পড়তে যাচ্ছিলেন সৈফুদ্দিন। আচমকা হামলা। গুলির শব্দ শুনে প্রতিবেশীরা বেরিয়ে এসেছিলেন। রক্তাক্ত দেহটি তুলে দৌড়েছিলেন হাসপাতালে। পরে তাঁকে পদ্মেরহাট গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।


এদিকে জয়নগরকাণ্ডে জাল গোটাতে মরিয়া পুলিস। বামনগাছিতে  শুটআউট,গণপিটুনিতে মৃত্যু,দলুয়াখালিতে তাণ্ডব। তিন ঘটনায় পৃথক তিন মামলা। জোরকদমে তদন্তের মধ্যেই আজ গ্রাউন্ডজিরোয় যেতে পারে সিআইডি-ও। অন্যদিকে, আজও থমথমে জয়নগর। মোতায়েন ভারী সংখ্যা পুলিসবাহিনী। আতঙ্কিত মানুষজন নিজেদের বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন।             


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)