জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বিজেপি ক্ষমতায় এলে লক্ষীর ভাণ্ডারে ৫০০ নয় ২০০০ টাকা দেবেন। দুর্গাপুরে এমনই দাবি করলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লক্ষীর ভাণ্ডারে ৫০০ টাকা দিচ্ছেন, বিজেপি এলে ঘরের লক্ষীদের দু'হাজার টাকা করে দেবে। দুর্গাপুর পশ্চিমের বিজেপি বিধায়ক লক্ষণ ঘোড়ুইয়ের বাড়িতে দলত্যাগি দুই নেতাকে ফের দলে যোগ করিয়ে এই মন্তব্য করলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। আসানসোল নর্থের বিজেপির মন্ডল তিনের সভাপতি সুদীপ চৌধুরী ও জেলা বিজেপির তৎকালীন অন্যতম সাধারণ সম্পাদক মদন মোহন চৌবে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। এইদিন দুর্গাপুর পশ্চিমের বিজেপি বিধায়ক লক্ষণ ঘোড়ুইয়ের বাড়িতে এই দুই দলত্যাগির হাতে বিজেপির পতাকা তুলে দিয়ে স্বাগত জানান রাজ্য বিজেপির সভাপতি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন, Elephant In Sankrail: হাতি সামলান; ফসলের ক্ষতিপূরণের দাবিতে সাঁকরাইলে লাগাতার অবরোধ চাষিদের


আর সেখানেই রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানান, লক্ষী ভাণ্ডারের প্রকল্প আমাদের দলীয় ইস্তাহারে ছিল। দুর্ভাগ্যবশত আমরা মানুষের কাছে এই ইস্তাহার পৌঁছতে পারিনি। সুযোগটাকে কাজে লাগান তৃণমূল সুপ্রিমো। ৫০০ টাকা করে ভিক্ষে দিচ্ছেন আর আমরা ক্ষমতায় এলে ২০০০ টাকা করে দেব। এই প্রকল্পের সঙ্গে বেকারদের চাকরি দেবেন। রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার শনিবার ডিসেম্বর বিতর্ক ফের উস্কে দিয়ে বলেন, পেটে খেলে পিঠে সয়। তৃণমূলও বুঝবে এই ডিসেম্বরে কী হতে চলেছে এই সরকারের।


বাংলার মানুষের দিকে তাকিয়ে বিজেপি প্রথম গ্রামন্নয়ন মন্ত্রীকে বকেয়া প্রকল্পের টাকা ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছিল। আর তাই প্রথমটা বিরোধিতা করেও শেষে বাংলার গ্রামের সাধারণ ছাপোষা গরিব মানুষের দিকে তাকিয়ে টাকা ছেড়ে দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে অনুরোধ করেন। বকেয়া টাকা ছেড়ে দেওয়ার আর্জি জানান তারা। রবিবার দুর্গাপুরের ঝাঁঝরা কোলিয়ারি মাঠে দলের কেন্দ্রীয় নেতা অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী এক জনসভায় যোগ দেন।


আরও পড়ুন, Mithun Chakrabortty: আসানসোল যাওয়ার পথে দুর্ঘটনার কবলে মিঠুনের কনভয়


সেখানে দলীয় কর্মীদের ক্ষোভ, মান-অভিমান নিয়ে জানতে চান কেন্দ্রীয় স্তরের বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী। দলীয় কর্মীরা অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীকে কাছে পেয়ে জেলা নেতৃত্বের প্রতি ক্ষোভ উগরে দেন। দলের নেতারা কেউ ফোন ধরে না, পাশে পাওয়া যায় না, ভোট পরবর্তী হিংসার পর দলীয় কর্মীরা হিংসার শিকার হলেও দলীয় নেতাদের পাশে পাননি। দলীয় কর্মীদের এই ক্ষোভ বিক্ষোভে বেশ বিড়ম্বনার মাঝে পড়ে যান বিজেপি রাজ্য সভাপতি থেকে শুরু করে জেলা স্তরের নেতারা। উত্তরে সুকান্ত মজুমদার বলেন,মানুষ তৃণমূলের সন্ত্রাসে যেমন ভয়ে ছিল, তখনকার পরিস্তিতিতে দলের নেতৃত্ব কর্মী ও নেতারাও ভয়ে ছিল। হতে পারে সেই জন্য সমস্যা হয়েছে। আর এই সমস্যা হবে না বলেও জানান তিনি। 


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)