বিধান সরকার: ‘অভিষেক গ্রেফতার হওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা। কর্নাটকে কংগ্রেস বিধায়কের সংখ্যায় জিতেছে, এখনো বহু খেলা বাকি আছে’। সিঙ্গুরে সাংগঠনিক বৈঠকে এসে বললেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

হুগলিতে তিন দিনের সাংগঠনিক বৈঠকের রবিবার প্রথম দিন। সিঙ্গুর, চুঁচুড়া ও চন্দননগর বিধানসভায় বৈঠকে যোগ দেবেন তিনি। প্রথমে সিঙ্গুরে বৈঠক করেন সুকান্ত মজুমদার।


সেখানে তিনি বলেন, ‘তাঁবু খাটিয়ে রাতের বেলায় কাদের সঙ্গে মিটিং করছেন আমরা সব জানি। আমাদের কাছে সব খবর আসছে। কিন্তু ওইভাবে উনি বাঁচাতে পারবেন না। উনি যদি ভেবে থাকেন উনি গ্রেফতার হবেন আর তার জন্য বিভিন্ন লোকেরা রাস্তায় নামবে তুলকালাম হবে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি গন্ডগোল হবে সেটা হচ্ছে না। আমরা মিডিয়ার মাধ্যমে যেটা জানতে পারছি এবং আমাদের সাধারণ বোধ বুদ্ধিতে যা বলে গ্রেফতার হওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা। যেভাবে মিডিয়া বলছে ওনার স্ত্রীর একাউন্টে টাকা গেছে থাইল্যান্ডে টাকা গেছে কার একাউন্টে টাকা গেছে! ওনার অ্যাকাউন্ট থেকে তাহলে উনি অ্যারেস্ট  হবেন’।


অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় শনিবার জামালপুরে বলেছেন, ‘অন্যায় করলে কেউ বাদ যাবে না। দলের মহাসচিবকেও বরখাস্ত করতে দু’বার ভাবেননি’।


আরও পড়ুন: Cyclone Mocha: কেন সুপার সাইক্লোন হয়ে উঠল মোকা! কী বলছেন আবহাওয়াবীদরা?


সেই প্রসঙ্গে বিজেপি সভাপতি বলেন, ‘মানুষকে বোকা বানানোর চেষ্টা হচ্ছে। কারণ মহাসচিব ছিলেন না পোস্ট একটাই বাকি সব ল্যাম্পপোস্ট। দেড়খানা পোস্ট এখন হয়েছে। এই দেড়খানা পোস্ট না জানা অবস্থায় এতকিছু ঘটে গেছে, পার্থ চট্টোপাধ্যায় এত কিছু করে ফেলেছে এটা বিশ্বাসযোগ্য নয়। মানুষকে বোকা পেয়েছেন নাকি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় মানুষকে যা বোঝাবেন মানুষ তাই বুঝে নেবেন। যেখানে সিংহের বাচ্চাও হয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায়, সেখানে পার্থ চট্টোপাধ্যায় এত লোককে চাকরি দিয়ে দিলেন এত কোটি কোটি টাকার মালিক হয়ে গেলেন ঘুষ নিয়ে সেটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানেন না, এটা বিশ্বাস করতে হবে’।


জামালপুরের নব জোয়ারে ভোটে কারচুপির অভিযোগ উঠেছে। বালি খাদান মালিকদের বুথ সভাপতি সাজিয়ে ছাপ্পা প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন, ‘বালি খাদান এর মালিকরাই তো তৃণমূল কংগ্রেস চালায় এটা নতুন কিছু না’।


তিনি আরও বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখানে নো ভোট টু বিজেপি বলল আর কর্নাটকের মানুষ শুনে নিল এত বড় নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন। তাহলে তো উনি কর্নাটকে গিয়ে ভোটের প্রচার করতে পারতেন। করলেন না কেন? বিজেপি জিততো। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে দেখলে লোক বিজেপিকে ভোট দিত। যে কথা উনি বলেছেন তার কোন প্রাসঙ্গিকতা নেই’।


সুকান্ত মজুমদারের আরও দাবি, ‘এখনও যদি কর্নাটকে লোকসভা ভোট হয় এর উল্টো ফল হবে। এর কারণ মোদীজি। মোদীজীর উপরে দেশের মানুষ ভরসা করে। মোদীজিকে দুহাত তুলে মানুষ আশীর্বাদ করবে এবারও আমরা ৩০০ পার করব’।


কর্নাটকের ফল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘পঞ্চায়েতে এর কোনও প্রভাব পড়বে না। ওই রাজ্যে কে ইডলি খেলো আর তার জন্য বাংলার মানুষের অ্যাসিড হয় না’।  


আরও পড়ুন: Trinamool Congress: নব জোয়ারের আগেই দলবদল, বাঁকুড়ায় তৃণমূল-বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ ৫০ পরিবারের


নব জোয়ার প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছে, ‘উত্তরবঙ্গ থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নব জোয়ার শুরু করেছিলেন। যেখানে যেখানে উনি গেছেন সেখানে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি এমনকি মরা কংগ্রেসও তৃণমূল কর্মীরা যোগদান করেছে। পুরো উত্তরবঙ্গ জুড়ে। উনি নব জোয়ার না নব প্লাবন কি দেখতে পাচ্ছেন জানি না আমরা কিছুই দেখতে পাচ্ছি না। আমরা শুধু দেখতে পাচ্ছি ভাইপো গেছেন করতে নবজোয়ার উনি করবেন চোরেদের খোয়ার’।


কর্নাটকের কংগ্রেস সরকার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কর্নাটকে কংগ্রেসকে শপথ নিতে দিন ছমাস এক বছর সরকার চলতে দিন এখনো বহু খেলা বাকি আছে। শুধু বিধানসভার বিধায়কের সংখ্যাতে কংগ্রেস জিতেছে’।


এই ফলাফল প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘কর্নাটকের ফলে বিরোধী ঐক্যের কোনও লাভ হবে না। যারা বলছে ঐক্যের কথা তারা সব রিজিওনাল পার্টি। অন্য লোকের ছেলে হলে যেমন হাততালি দেয় ভোটে কংগ্রেস জিতেছে এখানে তৃণমূল হাততালি দিয়ে নাচছে’।