মন্ত্রীর ধমককে বুড়ো আঙুল! ঝাড়খালিতে সুন্দরীগাছ কেটে ফেলে চলছে অবৈধ নির্মাণকাজ
স্থানীয়দের অভিযোগ, সমস্ত বেআইনি নির্মাণ প্রশাসনের নাকের ডগাতেই ঘটছে। কিন্তু সেসব দেখেও না দেখার ভান করছে তারা।
নিজস্ব প্রতিবেদন : মন্ত্রী এসে দেখা মাত্রই ধমক দিয়েছিলেন। কোনওভাবেই যেন গাছ কাটা না হয়, কড়া নির্দেশ দিয়ে গিয়েছিলেন ব্রাত্য বসু। কিন্তু মন্ত্রীর ধমককে থোড়াই কেয়ার। সুন্দরবনে দেদার কাটা হচ্ছে সুন্দরী গাছ। গাছ কেটে জঙ্গল সাফ করে তৈরি হচ্ছে বেআইনি নির্মাণ।
সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ অরণ্য। রয়্যাল বেঙ্গল সহ বহু বন্যপ্রাণীর বাসস্থান। জগৎজুড়ে খ্যাতি সুন্দরবনের এই ম্যানগ্রোভ অরণ্যের। সবুজে সবুজ চারদিক। আর সেই সবুজের বুক চিরে গিয়েছে একাধিক জলধারা। দেশবিদেশ থেকে পর্যটকরা ছুটে এসেছেন এই প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের টানে। কিন্তু সেই সৌন্দর্যই আজ বিপন্ন।
সুন্দরবনের নামকরণ যে সুন্দরীগাছের জন্য, সেই গাছ-ই কেটে সাফ করে দিচ্ছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। এই ছবি ধরা পড়েছে সুন্দরবনের প্রত্যন্ত ঝড়খালিতে। অভিযোগ, সুন্দরবনের ঝড়খালিতে রাস্তার পাশের অর্থাৎ নদীর চরের জঙ্গলের গাছ কেটে অবৈধ নির্মাণ শুরু করেছে বেশ কয়েকজন অসাধু ব্যবসায়ী । আর সেই অবৈধ নির্মাণের ফলে ধংস হচ্ছে সুন্দরবন। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এই সমস্ত বেআইনি নির্মাণ প্রশাসনের নাকের ডগাতেই ঘটছে। কিন্তু সেসব দেখেও না দেখার ভান করছে তারা।
আরও পড়ুন, লকেটের সভায় পতাকা টাঙানোর পরই গুড়াপে বিজেপি কর্মীকে মাঠে ঘিরে ধরে বুকে গুলি
আর এখানেই উঠছে প্রশ্ন। এরকম যদি চলতে থাকে, তবে আগামীদিনে কী অপেক্ষা করে আছে? প্রশাসনের উদাসীনতা ও অসাধু ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্যে কি হারিয়ে যাবে সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ? আশঙ্কা ঘনাচ্ছে। একদিকে আমাজনের জঙ্গল যখন পুড়ছে, বন্যপ্রাণেরা বাসস্থান হারাচ্ছে, আতঙ্কের প্রমাদ গুনছেন পরিবেশবিদরা, তখন রাজ্যের এই ছবিও যে কম উদ্বেগজনক নয়, তা বলাই বাহুল্য।