নারায়ণ সিংহ রায়: প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার অভিযোগ খতিয়ে দেখতে বিভিন্ন জেলায় গ্রামে গ্রামে ঘুরছেন কেন্দ্রীয় দল। মঙ্গলবার সকালে শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের ফাঁসিদেওয়া ব্লকের টামবারি এলাকায় গিয়ে তালিকা মিলিয়ে বিভিন্ন বাড়িতে গিয়ে জিজ্ঞাসবাদ করেন কেন্দ্রের আধিকারিকরা। তাদের ছিল তৃণমূল ও বিজেপির সমর্থক ও কর্মীরা । কেন্দ্রীয় দল গ্রামে ঢুকতেই দুই পক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হয় । তা গিয়ে দাঁড়ায় হাতাহতিতে । ব্যাপক হাতিহাতি হয় দু পক্ষের মধ্যে । কেন্দ্রীয় দলের সুরক্ষায় উপস্থিত ছিল ফাঁসিদেওয়া থানার পুলিশ । তারাই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- চিনে রেকর্ডহারে কমল জনসংখ্যা! ৭২ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম


প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনাকে কেন্দ্র করে একের পর এক গুরুতর অভিযোগ উঠছে ফাঁসিদেওয়া ব্লক ও নকশালবাড়ি এলাকা থেকে । সেই মোতাবেক আবাসের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে গত শনিবার সন্ধ্যায় শিলিগুড়ি এসে উপস্থিত হন কেন্দ্রীয় অনুসন্ধানকারী দুই দলের সদস্য । অনুসন্ধানকারী দলের এ কে মিশ্র এবং অনুপ যোশী শনিবার সন্ধ্যায় শিলিগুড়ি পৌঁছে মহকুমা পরিষদে দার্জিলিং জেলার জেলাশাসক , বিডিও ও বিএলআরওদের সঙ্গে বৈঠক সারেন । তারপর দুদিন কেটে গেলেও কোন প্রকার অভিযানে বের হননি তাঁরা। সূত্রের খবর জেলা প্রশাসন থেকে তাদের তেমনভাবে সাহায্য করা হয়নি । 


অবশেষে মঙ্গলবার সকালে ফাঁসিদেওয়া পৌঁছায় অনুসন্ধানকারী দল । ফাঁসিদেওয়ার  টামবারি গ্রামে তালিকা মিলিয়ে বিভিন্ন বাড়িতে গিয়ে খোঁজখবর নেনে তারা৷ তালিকায় নাম থাকা সত্বেও তা বাদ কেন পড়ল তার খোঁজখবর যেমন নেনে তেমনি পাকা বাড়ি থাকা সত্বেও আবাসের তালিকায় নাম কেন তার খোঁজ নেন। প্রায় ঘন্টা তিনেক হেঁটে গ্রামে ঘুরে ফাঁসিদেওয়া ব্লক অফিসে যান দুই সদস্য। সেখানে বিডিওর সঙ্গে দেখা করে তালিকা মিলিয়ে সেখান থেকে শিলিগুড়ি স্টেট গেস্ট হাউজের উদ্দেশ্যে রওনা দেন তারা। তবে সংবাদ মাধ্যমের সামনে কোন কথাই বলেননি। 


মারধোরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিজেপির ফাঁসিদেওয়া মন্ডলের সম্পাদক বিশ্বজিৎ বাগচি জানান , "কেন্দ্রীয় দলের সঙ্গে আমাদের কয়েকজন ছিল৷  টিনের কাঁচা বাড়ি থাকা সত্বেও তা বাদ দেওয়া হয়েছে সেগুলো দেখানোর জন্যই গিয়েছিলাম। আমরা কোনও কথা বলিনি তাদের সঙ্গে। কিন্তু সেখানেই তৃণমূলের কর্মী ও এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য এসে আমাকে জিজ্ঞেস করে কেন এখানে৷ কারণ বলতেই তারা মারধোর শুরু করে আমাদের উপর।"


অন্যদিকে ফাঁসিদেওয়া তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি চন্দন কুমার রায় ঘটনাকে কেন্দ্র করে জানান , "আমরা চাই নিরপেক্ষা তদন্ত হোক আবাস যোজানার। কিন্তু সেন্ট্রাল কমিটির সঙ্গে কিছু বিজেপি কর্মী গিয়ে ইচ্ছাকৃত অভিযোগ করছে। তাদের বিভ্রান্ত করছে৷ এই নিয়েই একটা বচসার সৃষ্টি হয়৷ কেন্দ্রীয় দল তদন্ত করুক আমাদের কোন আপত্তি নেই ,  কিন্তু সেখানে কোন দলীয় রঙ থাকবে না।"


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)