China records population decline: চিনে রেকর্ডহারে কমল জনসংখ্যা! ৭২ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম

৭২ বছরে প্রথমবার। রেকর্ডহারে জনসংখ্যা কমল পড়শি দেশের। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চিন তাদের প্রথম সামগ্রিক জনসংখ্যা হ্রাসের ঘোষণা করেছে। জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরো জানিয়েছে, গত বছরের তুলনায় ২০২২ সালের শেষে দেশে ৮ লক্ষ ৫০ হাজার জনসংখ্যা ছিল। হংকং এবং ম্যাকাও ছাড়াও চিনের মূল ভূখণ্ডের জনসংখ্যা গণনা করা হয়। মঙ্গলবার এক ব্রিফিংয়েই এ তথ্য জানানো হয়।

Updated By: Jan 17, 2023, 02:03 PM IST
China records population decline: চিনে রেকর্ডহারে কমল জনসংখ্যা! ৭২ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম
ফাইল ছবি

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ৭২ বছরে প্রথমবার। রেকর্ডহারে জনসংখ্যা কমল পড়শি দেশের। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চিন তাদের প্রথম সামগ্রিক জনসংখ্যা হ্রাসের ঘোষণা করেছে। জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরো জানিয়েছে, গত বছরের তুলনায় ২০২২ সালের শেষে দেশে ৮ লক্ষ ৫০ হাজার জনসংখ্যা ছিল। হংকং এবং ম্যাকাও ছাড়াও চিনের মূল ভূখণ্ডের জনসংখ্যা গণনা করা হয়। মঙ্গলবার এক ব্রিফিংয়েই এ তথ্য জানানো হয়।

আরও পড়ুন, California Rainstorm: প্রবল বৃষ্টিপাতে বিপর্যস্ত জনজীবন, নিশ্চিহ্ন রাস্তাঘাট!এখনও পর্যন্ত মৃত্যু ২০...

২০১৬ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হওয়া এক সন্তান নীতির ফলে ৭২২.০৬ মিলিয়ন থেকে ৬৮৯.৬৯ মিলিয়নে পৌঁছয় জনসংখ্যা। নারীর থেকে চেয়ে সংখ্যা বেশি ছিল। তবে সেই নীতি পরিত্যাগ করার পর থেকে চিন দ্বিতীয় বা এমনকি তৃতীয় সন্তানের জন্য খুব একটা চেষ্টা করেনি। চিনের শহরগুলিতে শিশুদের মানুষ করার ব্যয়কে প্রায়শই কারণ হিসাবে সামনে রাখা হয়, যা পূর্ব এশিয়ার বেশিরভাগ অঞ্চলে যেখানে জন্মহার হ্রাস পেয়েছে সেখানেও একই কারণ উঠে এসেছে।

চিন দীর্ঘকাল ধরে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ ছিল। তবে আশা করা যায় যে ভারত শীঘ্রই চিনের রাস্তা ধরবে। অনুমান অনুযায়ী ভারতের জনসংখ্যা ১.৪ বিলিয়নের বেশি এবং ক্রমবর্ধমান। ১৯৫০-এর দশকের শেষ দিকে চিনের জনসংখ্যা যখন হ্রাস পেয়েছিল বলে মনে করা হয়। তখন মাও সে তুং-এর যৌথ চাষ এবং শিল্পায়নে উন্নতির মরিয়া চেষ্টা সেই কাজ তরান্বিত করেছিল।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৬ থেকে ৫৯ বছরের মধ্যে চিনের মোট শ্রমিকের জনসংখ্যা ছিল ৮৭৫.৫৬ মিলিয়ন। যা জাতীয় জনসংখ্যার ৬২.০ শতাংশ। ৬৫ বছর বয়সী শ্রমিকের বয়স ২০৯.৭৮ মিলিয়ন, যা মোট শ্রমিকের ১৪.৯ শতাংশ। ২০২২ সালে স্থায়ী শহুরে জনসংখ্যা ৬.৪৬ মিলিয়ন বৃদ্ধি পেয়ে ৯২০.৭১ মিলিয়ন বা ৬৫.২২ শতাংশ হয়েছে, যেখানে গ্রামীণ জনসংখ্যা ৭.৩১ মিলিয়ন হ্রাস পেয়েছে।

তবে কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের জন্য জনসংখ্যার উপর কোনও প্রভাব পড়েছে কিনা তা নিয়ে সরাসরি মন্তব্য করা হয়নি। কোভিড বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ার আগে এই ভাইরাস চিনের শহর উহানে প্রথম শনাক্ত করা হয়েছিল। কিছু বিশেষজ্ঞ চিনের বিরুদ্ধে এই ভাইরাস আনার কারণকে মাস কিলিংয়ের প্রচেষ্টা হিসেবে দেখাতে চেয়েছেন। তারা এই ভাইরাসকেই দায়ী করেছে।

 

আরও পড়ুন, Artur Smolyaninov: রাশিয়ার 'র‍্যাম্বো', পুতিনের প্রিয় 'নায়ক' দেশের পয়লা নম্বর শত্রু, কে এই অভিনেতা?

.