নিজস্ব প্রতিবেদন: সুপ্রিম কোর্টে বড়সড় ধাক্কা রাজ্য বিজেপির। কার্যত খালি হাতেই ফিরতে হল দিলীপ ঘোষদের। পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে একাধিক ইস্যুতে মামলা করেছিল বিজেপি। কিন্তু সোমবার সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে কোনও হস্তক্ষেপ করবে না সুপ্রিম কোর্ট। যদি কোনও প্রার্থী অভিযোগ জানাতে চান, তাহলে নির্বাচন কমিশনে দ্বারস্থ হতে পারেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- বিজেপি-র আর্জি খারিজ, পঞ্চায়েত নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করবে না সুপ্রিম কোর্ট


কিন্তু বিজেপির আর্জি কেন সরাসরি খারিজ করে দিল শীর্ষ আদালত? আইন বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, নির্বাচন বিজ্ঞপ্তি জারি হয়ে গেলে, পুরো প্রক্রিয়ার সম্পূর্ণ দায়িত্ব বর্তায় কমিশনের। সেখানে সুপ্রিম কোর্টও হস্তক্ষেপ করতে পারে না। সেই কারণেই এ দিন বিজেপির করা মামলা খারিজ হয়ে যায়।


আরও পড়ুন- সংঘাত! কমিশনের চাহিদা মেনে পর্যবেক্ষক দিল না রাজ্য


২০১৩ সালে রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়োগ নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে দ্বারস্থ হয়েছিলেন তত্কালীন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার মীরা পাণ্ডে। সে সময় কমিশনের সবকটি দাবি মেনে নেয় শীর্ষ আদালত। প্রশ্ন, বিজ্ঞপ্তি জারি হওয়ার পরও সে সময় কেন আদালত হস্তক্ষেপ করেছিল। আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, নির্বাচনকে সুষ্ঠভাবে পরিচালনা করতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল খোদ নির্বাচন কমিশনই। নির্বাচনের পুরো দায়িত্ব কমিশনের হাতে। কমিশনই যদি নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে, তাহলে আদালতে দ্বারস্থ হতেই পারে বলে মনে করছেন আইন বিশেষজ্ঞরা।


আরও পড়ুন- দমদম ক্যান্টনমেন্টে রেললাইনের ধারে বোমা বিস্ফোরণ, জখম ১


রাজ্যে অবাধ ভোট করাতে প্রথম থেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি করেছিল বিজেপি-সহ অন্যান্য বিরোধীরা। এ ছাড়া রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় মনোনয়ন পত্র পেশ করতে পারচ্ছে না বিরোধীরা, রাজ্যসরকারের বিরুদ্ধে এই অভিযোগও তোলেন তাঁরা। মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার সময়সীমা বাড়ানোর দাবি করে বিজেপি। এই সবকটি দাবি খারিজ করে সুপ্রিম কোর্ট।


আরও পড়ুন- মনোনয়নপত্র জমা ঘিরে দফায় দফায় সংঘর্ষ বর্ধমানে 


সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ে আইনজীবী তথা তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, শূন্য হাতে ফিরতে হয়েছে বিজেপিকে। এগারোটা উইকেট পড়ে গিয়েছে তাদের। এদিকে একটার পর একটা ওভার-বাউন্ডারি মেরেছে রাজ্য সরকার। তবে, রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের গলায় হতাশার সুরই শোনা যায়। কোথাও গিয়ে কাজ হয়নি। তাই সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিলেন, বললেন দিলীপ ঘোষ।