জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগে সার্চ কমিটি তৈরি করবে সুপ্রিম কোর্ট। ২৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে  নাম পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। রাজ্য সরকার, আচার্য, ইউজিসি-কে এই মর্মে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ৩ থেকে ৫ জন বিশিষ্ট ব্যক্তির নাম পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ৩টি আলাদা প্যানেল থেকে ১টি সার্চ কমিটি গঠন করা হবে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এদিন সুপ্রিম কোর্টে রাজ্যপালের আইনজীবী সওয়াল করেন যে, প্রকাশ্যে রাজ্যপালকে অপমান করছেন শিক্ষামন্ত্রী। যা শুনে শীর্ষ আদালত বলে, 'মতবিরোধের মধ্যে আমরা পড়তে চাই না। আমরা এসবের মধ্যে যাব না। আমরা পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ দেখব।' প্রসঙ্গত, উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্য-রাজ্যপাল দ্বন্দ্ব চরমে পৌঁছেছে। অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে আচার্য তথা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় নবান্ন। রাজ্য সরকার যুক্তি দেয় যে, আনন্দ বোস যে পদ্ধতিতে উপাচার্য নিয়োগ করেছেন, তা আইনসম্মত নয়। তা বৈধ নয়। রাজ্যের সঙ্গে কোনও আলোচনা ছাড়াই এককভাবে উপাচার্য নিয়োগ করেছেন আচার্য। আজ সেই মামলার-ই শুনানি ছিল।


এরমধ্যে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্যপালকে নিশানাও করেন শিক্ষামন্ত্রী। ব্রাত্য বসু মন্তব্য করেন, "ভেবেছিলাম উনি খিলজি, কিন্তু আদতে দেখছি উনি মহম্মদ বিন তুঘলক।" যারপরই শিক্ষামন্ত্রীর ‘বিন তুঘলক’ মন্তব্য নিয়ে কড়া মনোভাব দেখান রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। রাজ্যপাল বলেন, "আমার খুশি এই আচরণ করছি। অপেক্ষা করুন। দেখুন আজ মধ্যরাতে কী পদক্ষেপ নিই।" যার পালটা আবার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু নাম না করে টুইট করেন, 'মাঝরাত পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। কী পদক্ষেপ নেওয়া হয় দেখতে থাকুন। সাবধান! সাবধান! সাবধান! শহরে নতুন ভ্যাম্পায়ার এসেছে। শহরবাসী আপনারা সতর্ক থাকুন। নিজেদেরকে সাবধানে রাখুন। অধীর আগ্রহে ভারতীয় পুরাণ অনুযায়ী রাক্ষস প্রহরের জন্য অপেক্ষা করছি।'


এরপর গত শনিবার মধ্যরাতেই দুটি কনফিডেন্সিয়াল চিঠিতে সই করেন রাজ্যপাল। সেই চিঠি দুটির একটি পাঠান নবান্নতে। আর অন্যটি পাঠান দিল্লিতে। সেই চিঠির বিষয়বস্ত কী? তা নিয়ে খোলসা করেননি রাজ্যপাল। ওদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় 'গোপন' চিঠি নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে রাজি হননি। ইতিমধ্যে আবার সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারদের নিয়ে বৈঠক ডেকেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। যে বৈঠকে গরহাজির থাকেন ১৯ জন রেজিস্ট্রার-ই। যাঁরা বৈঠকে অনুপস্থিত থাকার জন্য শো-কজের মুখে পড়েন। ওদিকে শহরে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রসাদ আসায়, পাঁচতারা হোটেলে তাঁর সঙ্গে বৈঠকে হাজির ছিলেন কলকাতা, উত্তরবঙ্গ-সহ ৫ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা। যে প্রসঙ্গে ব্রাত্য বসু টুইট করেন, 'আশা করি, আদালত নজর রাখছে।'


আরও পড়ুন, Nisith Pramanik: উদয়নকে 'ফুটো মস্তান-গব্বর-হাত ভাঙা গুন্ডা' তোপ নিশীথের!



(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)