নিজস্ব প্রতিবেদন: এক বছর ধরে বিকল ব্যাগেজ স্ক্যানার। নজরদারির অবস্থাও তথৈবচ। নিরাপত্তা ব্যবস্থার এমনই হাল উত্তপূর্বের গেটওয়ে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনের। নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনের তিনটি প্রবেশদ্বারের হাল কম-বেশি একই। এক বছরের অধিক সময় ধরে অকেজো ব্যাগেজ স্ক্যানার-সহ নিরাপত্তার যাবতীয় যন্ত্রাংশ। বিকল ডোর-ফ্রেম মেটাল ডিটেকটরগুলি। স্টেশন চত্বরে দেখা মিলল না কোনও রক্ষীর। অবাধে স্টেশনে ঢুকে পড়তে পারে যে কেউ। নেই কোনও নজরদারি। রেলের ঢিলেঢালা মনোভাবে প্রশ্নে যাত্রী নিরাপত্তা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- মদ খাওয়া নিয়ে বকাবকি, মাকে গুলি করে খুন ছেলের


উত্তর-পূর্ব ভারত তো বটেই, ভুটান, নেপাল ও বাংলাদেশের একাংশে যাতায়াতের মূলকেন্দ্র এই এনজেপি স্টেশন। স্টেশনটি দিয়ে রোজ ১৪৮টি ট্রেন যাতায়াত করে। যার মধ্যে রয়েছে রাজধানী এক্সপ্রেসও। কিন্তু নিরাপত্তার চেহারায় তা বোঝা মুশকিল। অথচ এই স্টেশনেই ১৯৯৯ সালে ঘটেছে ভয়াবহ নাশকতা। মহানন্দা লিংক এক্সপ্রেসে বিস্ফোরণে আহত হয়েছিলেন ৬০ জন। ২০০৬ সালে বেলাকোবা বিস্ফোরণে প্রাণ যায় ২০ জনের।
স্টেশনের নিরাপত্তা আঁটোসাঁটো করতে এর পরই বসানো হয় মেটাল ডিটেকটর ব্যাগেজ স্ক্যানার। কিন্তু গত ১ বছর ধরে বিকল হয়ে রয়েছে সেগুলি। দেখা নেই নিরাপত্তারক্ষীদের। থাকলেও তাঁদের সামনে দিয়ে কোনও নজরদারি ছাড়াই লটবহর নিয়ে স্টেশনে ঢুকছেন যাত্রীরা।


আরও পড়ুন- রবীন্দ্র ভাবনায় নয়, বেহাল দশায় খোলা আকাশের নীচে চলছে কলেজ


স্টেশনের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে চিন্তিত যাত্রীরাও। 'এত বড় স্টেশনে নিরাপত্তার হাল দেখলে আশঙ্কা হয়। নাশকতা চালানোর জন্য তো মুক্তাঙ্গন তৈরি করে রেখেছে রেল কর্তৃপক্ষ।', বললেন সত্যানন্দ সাহা নামে এক যাত্রী। নমিতা রায় নামে এক যাত্রীর কথায়, যে যা খুশি নিয়ে ট্রেনে উঠে যাচ্ছে। এটা খুবই ভাবনার বিষয়। বিপদ ঘটলে দায় নেবে কে?


এ বিষয়ে ২৪ ঘণ্টা ডট কম-এর তরফে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের সঙ্গে যোগাযোগ করলে বিষয়টি এড়িয়ে যায় কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি নিয়ে রীতিমতো মুখে কুলুপ এঁটেছেন রেলকর্তারা।