নিজস্ব প্রতিবেদন:  নিজের বাড়িতে নয়, শ্বশুর বাড়িতে  স্ত্রীয়ের সঙ্গে একই ঘরে তিন দিন কাটাতে হবে।  বিবাহবিচ্ছেদের মামলার শুনানিতে বিবদমান দম্পতিকে  এমনই নির্দেশ দিয়েছেন সিউড়ি জেলা আদালতের বিচারক পার্থসারথি সেন। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন:  পাত্রী দেখতে গিয়ে তাঁর বাড়িতে বারাকপুরের পাত্র যা ঘটালেন, তা এই রাজ্যে কেন দেশে কোথাও আগে ঘটেনি!


এমনভাবে  হয়তো এর আগে দেখা হয়নি, হয়নি কথা।  শ্বশুরবাড়ির বাড়ির  ছাদে, যেখানে  চতুর্দশীর চাঁদ আলো অন্ধকারে লুকোচুরি খেলে,  ঠিক সেইখানটাতেই আবার নতুনভাবে দেখা হবে তাঁদের, কথাও হবে। 


আরও পড়ুন: শুরু আজ, চলবে পুজোতেও! নিম্নচাপের বৃষ্টিতে পুজোর কোন কোন দিন ভিজবে কলকাতা, দক্ষিণবঙ্গ জেনে নিন


তুমি আমাকে বুঝলে না, এই অনুচ্চারিত শব্দের- ঝগড়া দেখেছে  আদালতের কাঠগড়া।   ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে বীরভূমের মল্লারপুরের পেশায় স্কুল শিক্ষক কৌশিক মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিয়ে হয় বোলপুরের ঐশ্বর্যের।  ক'দিনের সংসারেই ভাটার চোরা টান দেখেছিলেন ঐশ্বর্য।  মাস কয়েক কাটতে না-কাটসেই বিবাহবিচ্ছেদের মামলা হয়।



ঐশ্বর্যের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই নাকি বাপের বাড়ি থেকে পণ নিয়ে আসার জন্য চাপ দিতেন কৌশিক। এদিকে বিয়ের সময়েও ৬ লক্ষ টাকা পণ নিয়েছিলেন কৌশিক। এই নিয়েই ঝামেলার সূত্রপাত। শ্বশুর বাড়ির লোকজন ও স্বামীর অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে  মাসখানেক আগে বাপের বাড়ি চলে আসেন ঐশ্বর্য। এরপর মল্লারপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে।


আরও পড়ুন: ঘরে মা, বাবা ও মায়ের পুরুষ বন্ধু! পুজোর বাজার সেরে ফেরার পর তিন জনকে ঘরের মধ্যে যে অবস্থায় দেখলেন ছেলেমেয়ে


না, কথা তো হয়নি বহুকাল।  এক বছরের মধ্যেই সম্পর্কের যে সুতোটা বড় ঢিলে হয়ে গিয়েছিল, সেটা যেন খানিকটা টানটান। সম্পর্কের এই এক দোষ, বেশি টানলে ছিঁড়ে যায়, আবার ঢিলে দিলে বড় ঢিলে হয়ে যায়। বোধহয় এই তত্বকেই  মাথায় রেখেই বিবাহবিচ্ছেদের মামলায় বিবদমান স্বামী স্ত্রীকে একসঙ্গে একান্তে তিন দিন কাটানোর নির্দেশ দিয়েছেন সিউড়ি জেলা আদালতের বিচারক পার্থসারথি সেন।


বিচারক পার্থ সারথী সেন এখনই বিবাহ বিচ্ছেদ করাতে চান না। বরং তিনি দিলেন বিয়ে বাঁচিয়ে রাখার কিছু টিপস।   কৌশিককে নির্দেশ দেন তিন দিন  স্ত্রীয়ের সঙ্গে শ্বশুরবাড়িতে কাটানোর।  তিনদিন পর ফের আদালতে এসে জানাতে হবে কেমন কাটিয়েছেন তাঁরা। যদি সঠিক উত্তর পান  তাহলে আর বিবাহ বিচ্ছেদ করা যাবে না, নতুবা ফের শুনানি হবে এই মামলায়। স্বামী ও স্ত্রী ক্যামেরার সামনে মুখ খুলতে না চাইলেও দুজনেই আশাবাদী তাঁরা।