পিয়ালি মিত্র: সল্টলেক গেস্টহাউজে প্রেমিকের রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় নাটকীয় মোড়। প্রেমিক রনি দত্তের রহস্যমৃত্যুর পিছনে রয়েছে ত্রিকোণ প্রেম! প্রাথমিক তদন্তে এমনটাই উঠে আসছে। পুলিস জানতে পেরেছে, আগে বাবা-মায়ের সঙ্গে কানাডাতে থাকতেন অনুশীলা। আদি বাড়ি হুগলির কোন্নগরে।লকডাউনের পর কলকাতা চলে আসেন অনুশীলা। এরপর দাদা নির্ঝর চৌধুরী, অনুশীলার থাকার জন্য গেস্টহাউজে রুম বুক করে দেয়। প্রতিদিন ৪ হাজার টাকা করে ভাড়া। মাসে এক লাখের উপর ভাড়া। দু'মাস ধরে সেই গেস্টহাইউজেই ভাড়া ছিল অনুশীলা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এখন, মাস দুয়েক আগে অনলাইন গেমের মাধ্যমে আলাপ হয় রনির সঙ্গে আলাপ হয় অনুশীলার। পুরুলিয়ার তুলিনের বাসিন্দা রনি দত্ত অষ্টম শ্রেণি পাস। তেমন কোনও কাজও করতেন না। অনুশীলার সঙ্গে আলাপের পরই কলকাতায় চলে আসে রনি। অনুশীলার সঙ্গে গেস্টহাউজে লিভ-ইন থাকতে শুরু করে দুজনে। এদিকে, আবার কোন্নগরের যুবক অরিজিত পাত্রের সঙ্গে ফেসবুকের মাধ্যমে আলাপ হয় অনুশীলার। ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের কাজ করেন অরিজিৎ। তাঁর সঙ্গেও সম্পর্ক তৈরি হয় অনুশীলার। জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে গেস্টহাউজে এসেছিলেন অরিজিৎ। মিনিট দশেক গেস্টহাউজে ছিলেনও।


পুলিস মনে করছে, ত্রিকোণ প্রেমকে ঘিরেই সমস্যার সূত্রপাত। সেইসঙ্গে যথেষ্ট উচ্ছৃঙ্খল জীবনযাপন। গেস্টহাউজের রুম থেকে ৪০টিরও বেশি মদের বোতল মিলেছে। সেদিন রাতেও চলে মদ্যপান। সেদিন অরিজিতের গেস্টহাউজে আসা নিয়েই গোলমালের সূত্রপাত ঘটে। ধস্তাধস্তি হয়। ধস্তাধস্তিতে হাত ভেঙে যায় অনুশীলার। ইতিমধ্যেই রনি দত্তর রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় ৩ জনের বিরুদ্ধে আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলা রুজু করেছে পুলিস। অনুশীলা চৌধুরী, নির্ঝর চৌধুরী ও আরেক বয়ফ্রেন্ড অরিজিৎ পাত্রের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়েছে। দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে অরিজিৎ পাত্রকে।


প্রসঙ্গত, সল্টলেকের গেস্টহাউজে গলায় ওড়নার ফাঁস দেওয়া অবস্থায় উদ্ধার হয় প্রেমিক রনির দেহ। ২ মাস ধরে ভুয়ো নাম-পরিচয়ে গেস্টহাউসে ছিলেন অনুশীলা ও রনি। কিন্তু অনুশীলা বা রনি কারও নামেই এই গেস্ট হাউজের বুকিং হয়নি। বুকিং হয়েছিল সন্তু ঘোষ বলে একজনের নামে। এই সন্তু ঘোষ নির্ঝর চৌধুরীর ম্যানেজার। নির্ঝর চৌধুরী একজন প্রোডিউসার।  যিনি সম্পর্কে অনুশীলার দাদা হন। ওনার ম্যানেজার সন্তু ঘোষ। তাঁর নামেই ২৭ অগাস্ট থেকে বুকিং ছিল গেস্টহাউজে।


আরও পড়ুন,  Dengue Death: মর্মান্তিক! কোভিডের ধাক্কা জিতলেও, ডেঙ্গিতে মৃত্যু বেলেঘাটা আইডির সহকারী সুপারের


সেদিন সন্ধ্যাবেলা থেকে অশান্তি শুরু হয়। চিৎকার-চেঁচামেচির আওয়াজ শোনার পরই গেস্টহাউজের অন্যান্য বোর্ডাররা অভিযোগ জানান। অভিযোগ পেয়েই পুলিস আসে গেস্টহাউজে। পুলিস এসে দরজায় 'নক' করলে, অনুশীলা বিবস্ত্র অবস্থায় বেরিয়ে আসেন। আর দেখা যায়, ভিতরে গলায় ওড়নার ফাঁস লাগানো অবস্থায় পড়ে রয়েছে তাঁর প্রেমিকের দেহ।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)