নিজস্ব প্রতিবেদন : মহামারী করোনার জন্য প্রায় পাঁচ মাস ধরে রাজ্যে বিক্ষিপ্ত লকডাউন চলছে। তাঁসের ঘরের মত ভেঙে পড়েছে অর্থনৈতিক পরিকাঠামো। হাজার হাজার মানুষের রুজি রোজগারে টান পড়ছে। এই ডামাডোলের মধ্যে মঙ্গলবার রাতে সাসপেনশন অফ ওয়ার্ক অর্ডারের নোটিস ঝুলিয়ে দিল রানিগঞ্জের JSIS আয়রন এবং স্টিল কোম্পানি। অভিযোগ, রাজ্য সরকারের ঘোষিত সাপ্তাহিক লকডাউনের সুযোগ নিয়ে  সবার অগোচরে এই নোটিস কোম্পানির গেটে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রানিগঞ্জের শিল্পতালুক মঙ্গলপুরে এই কারখানায় কাজ করে প্রায় ৮০জন কর্মী। বুধবার লকডাউনের জন্য কারখানা বন্ধ থাকায় কোনও কর্মী ডিউটিতে আসেননি। কিন্তু এলাকার কিছু মানুষ বেলা হতেই দেখতে পান কারখানার গেটে ঝোলানো আছে সাসপেনশন অফ ওয়ার্ক অর্ডারের নোটিস। কারাখানা বন্ধের খবর দাবানলের মত ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। কারখানার সব কর্মী-ই স্থানীয় বাসিন্দা। খবর পেয়েই সবাই কারখানার গেটে জড় হন। বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন।


শ্রমিকদের অভিযোগ, তাঁদের প্রাপ্য টাকা মালিকপক্ষ দিচ্ছে না। লকডাউনের শুরুর দিকে তিন মাস কারখানা বন্ধ ছিল। সেই সময়ের বেতন বাবদ এককালীন ৫ হাজার টাকা জেলার লেবার কমিশন থেকে শ্রমিকদের দিয়ে দিতে বলা হয়। কিন্তু সেখানে মাত্র ৩ হাজার টাকা করে দিয়েছে। তাই ৬ জুলাই কারখানা খোলার পর তাঁরা সেই বাকি টাকা আর অগ্রিম বেতনের দাবি জানায়। কিন্তু সেই টাকা তো দেয়ইনি, বরং তাঁদের বিরুদ্ধে মোটর জ্বালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ আনে মালিকপক্ষ। এই নিয়ে মঙ্গলবার কারখানার ভিতরে আন্দোলন চালান শ্রমিকরা।


এদিকে কারখানার এজিএম অরবিন্দ তেওয়ারির বক্তব্য,”  শ্রমিকদের চালচলন বেপরোয়া । এই লকডাউনে যে কদিন কাজ হয়েছে, সবাই ইচ্ছামত যাতায়াত করত। হাজিরা মানত না। প্রথমদিকে সবাই কাজে আসত। এখন কাজে আসে মাত্র ৩৫জন। মঙ্গলবার এদের আন্দোলনে কোম্পানির ২ লক্ষ টাকা ক্ষতি হয়ে গিয়েছে। ওদের দাবি মত অগ্রিম টাকার দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়ে গিয়েছে। কিন্তু তবুও এরা ভীষণ বেপরোয়া। এইভাবে কারখানা চালানো যায় না।“


কর্তৃপক্ষের সাফ কথা, সবপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে তবেই তারা আবার কারখানা চালু করতে চায়। অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিসের তরফে আলোচনার আশ্বাস দেওয়া হয়। তারপরই আজকের মত বিক্ষোভ তুলে নেন শ্রমিকরা।


আরও পড়ুন, বাড়িতে ফিরে ছেলে দেখে, চৌকিতে পড়ে মায়ের নিথর দেহ, বাবা ঝুলছে কড়িকাঠে