Tea Garden: বকেয়া মজুরির বদলে সাসপেনশন অফ ওয়ার্ক নোটিস! কর্মহীন ১৫০০ শ্রমিক
মজুরি ৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে মেটানোর প্রতিশ্রুতি দেন। পাশাপাশি ৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে আরেকটি পাক্ষিক মজুরি প্রদানের কথা বলা হয়।
অরূপ বসাক: বন্ধ হয়ে গেল মাল ব্লকের সাইলি চা বাগান। সোমবার সকালে সাইলি চা বাগানে সাসপেনশন অফ ওয়ার্কের নোটিস জারি করেছে বাগান কর্তৃপক্ষ। যার ফলে শুখা মরশুমে কর্মহীন হলেন প্রায় ১৫০০ চা শ্রমিক।
গত বৃহস্পতিবার থেকে মাল ব্লকের সাইলি চা বাগানের শ্রমিকরা বকেয়া মজুরির দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন। বাগানে গত ২২ জানুয়ারি একটি পাক্ষিক মজুরি প্রদানের তারিখ ছিল। তা প্রদান করা হয়নি। ফলে শ্রমিকরা বৃহস্পতিবার কারখানার গেটের সামনে অবস্থান শুরু করে।
এরপর শুক্রবার ফের আন্দোলন শুরু হয়। বাগান কর্তৃপক্ষ ২২ জানুয়ারির বকেয়া পাক্ষিক মজুরি ৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে মেটানোর প্রতিশ্রুতি দেন। পাশাপাশি ৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে আরেকটি পাক্ষিক মজুরি প্রদানের কথা বলা হয়। সেই মোতাবেক আজ অর্থাৎ সোমবার শ্রমিকদের পাক্ষিক মজুরি পাওয়ার কথা ছিল। এদিকে তার পূর্বেই সাসপেনশন অফ ওয়ার্কের নোটিস জারি করে বাগান ছেড়ে চলে যায় কর্তৃপক্ষ।
নোটিসে বাগানের ম্যানেজার উল্লেখ করেছেন, বাগানে আর্থিক দুর্বলতা রয়েছে। শ্রমিকদের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছিল। তবুও দফায় দফায় কাজ বন্ধ রেখে আন্দোলন করা হচ্ছে। ফলে বাগানে শান্তি শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখা নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। যার জেরেই বাগান কর্তৃপক্ষ সাসপেনশন অফ ওয়ার্কের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
শ্রমিক পক্ষ যদিও মালিক পক্ষের অভিযোগ মানতে নারাজ। তারা আগে থেকেই দাবি করে আসছেন যে নিয়ম মেনে তাঁরা বাগানের যাবতীয় কাজ করে থাকেন। অথচ মজুরি সহ নানা ক্ষেত্রে শ্রমিকদের বঞ্চনা করা হয়। মালিক পক্ষের কথা মতই তাঁরা কাজ করছেন অথচ সময় মত তাঁরা মজুরি পান না। এই অবস্থায় সাইলি চা বাগানের শ্রমিকেরা কী করবেন, তা বুঝে উঠে পারছেন না।
আরও পড়ুন, Chandrakona 2: মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেও মিলল না সমাধান, কাটছেনা চন্দ্রকোনা-২ পঞ্চায়েত সমিতির জট