নিজস্ব প্রতিবেদন:  'তোলাবাজ ভাইপোর হাত থেকে বাংলাকে বাঁচাও। গরু পাচার হয়ে গিয়েছে, ধরাও পড়ে দিয়েছে। অমিত শাহ (Amit Shah)  BSF-কে দিয়ে টাইট দিয়ে দিয়েছে। এবার যদি ক্ষমতায় আসে, তাহলে কিডনি পাচার হবে! পরিবর্তনের পরিবর্তন চাই।' বিজেপিতে (BJP) যোগ দেওয়ার পর প্রথম জনসভায় তৃণমূলের (TMC) বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। স্রেফ 'ভাইপো' অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Avishek Banerjee) নয়, নিশানা করলেন মমতাকেও (Mamata Banerjee)। বললেন, 'নিজের দমে যদি মুখ্যমন্ত্রী হতেন, তাহলে ২০০১ সালে হতেন। নন্দীগ্রামে মানুষের লাশের উপর দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। যে কংগ্রেসকে ছেড়ে তৃণমূল তৈরি করেছিলেন, সেই কংগ্রেসের হাত ধরতে হয়েছিল ২০১১ সালে।'


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: 'মারধর করতেন, হাইপারটেনশনের রোগী সুজাতা', আইনি নোটিসে লিখলেন সৌমিত্র


বিধানসভা ভোটের মুখে দলবদল। বিজেপি-তে (BJP) যোগ দেওয়ার পর এবার প্রচারে নেমে পড়লেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থালী এদিন দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) জনসভা পূর্ব নির্ধারিতই ছিল। সেই জনসভাতে যোগ দেন শুভেন্দুও (Suvendu Adhikari)। নিজের দলবদলের পক্ষে সাফাই দিতে গিয়ে তিনি বলেন, 'আমি নৈতিকতা বিসর্জন দিইনি। তিনটি দফতরের মন্ত্রিত্ব-সহ সরকারের যাবতীয় দায়িত্ব ছেড়ে দিয়ে বিজেপিতে (BJP) যোগ দিয়েছি। একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে মনে করেছি, তাই যোগ দিয়েছি। আমি একজন সাধারণ ভোটার। আমার অধিকার আছে, অন্য দলে যোগ দেওয়ার।'


আরও পড়ুন: বাজারে অমিল ট্যাব, দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের অ্যাকাউন্টে ১০ হাজার: Mamata


উল্লেখ্য, গত শনিবার মেদিনীপুরে অমিত শাহের (Amit Shah) উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপিতে (BJP) যোগ দেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সেদিন রাজ্যের প্রায় সর্বত্রই তাঁর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূূল (TMC) কর্মী-সমর্থকরা। প্রাক্তন পরিবহণমন্ত্রীকে 'মীরজাফর', 'বিশ্বাসঘাতক' বলছেন অনেকেই। সেই প্রসঙ্গ তুলে এদিন শুভেন্দু  বলেন,' আমাকে মীরজাফর বলছেন, বিশ্বাসঘাতক বলছেন। ১৯৯৮ সালে তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) প্রতিষ্ঠা হয়। বিজেপি (BJP), তৃণমূলকে (TMC) আশ্রয় দিয়েছিল। না হলে কোথায় যেত! ২০০১ সালের মধ্যে পার্টি উঠে যেত।'  রাজ্য বিজেপি (BJP) সূত্রে খবর, আগামী ২৬ ডিসেম্বর থেকে জেলা সফরে বেরোতে পারেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। কোন কোন জেলায় যাওয়ার প্রয়োজন রয়েছে, তা একটি তালিকা তৈরি করছেন তিনি। তার আগে দিল্লিতে গিয়ে দেখা করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) সঙ্গেও।