নিজস্ব প্রতিবেদন:  'মুখ না খুলে সিদ্ধান্ত নিন। কোম্পানির কর্মচারী হয়ে থাকবেন নাকি রাজনৈতিক সহকর্মী হিসেবে থাকবেন।' চন্দননগরে রোড-শো থেকে  'বেসুরো' তৃণমূল বিধায়ক প্রবীর ঘোষালকে (Prabir Ghosal) বার্তা দিলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বললেন, 'ভারত বিরোধী শক্তিকে যদি কেউ দমন করে থাকেন, তাহলে তাঁর নাম নরেন্দ্র মোদী। বিজেপি কর্মী হিসেবে নয়, ভারতবাসী হিসেবে বলছি, এমন শক্তিশালী প্রধানমন্ত্রী দেশ আগে দেখেনি।'


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

দলের সাংগঠনিক রদবদল-সহ বিভিন্ন ইস্যুতে একের এক 'বেসুরো' মন্তব্য। হুগলির উত্তরপাড়ার বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল (Prabir Ghosal) নিয়ে এবার জল্পনা বাড়ছে রাজনৈতিক মহলে। স্থানীয় কানাইপুর এলাকায় রাস্তা সংস্কার নিয়ে বিধায়কের বিস্ফোরক অভিযোগ, 'আমাকে ভোটে হারানোর জন্যই রাস্তা সারানো হচ্ছে না। আমি মুখ খোলার পর কেএমডিএ-র ইঞ্জিনিয়ার কানাইপুরের রাস্তা দেখতে এলে তাঁকে হুমকি দেন প্রধান আচ্ছেলাল যাদব। বিধায়কের নাম করে গালিগালাজ করেন।' ছেড়ে কথা বলেননি কানাইপুর পঞ্চায়েতের প্রধানও। তাঁর পাল্টা জবাব, "বিধায়ক এলাকায় কোনও কাজ করেননি। উনি হচ্ছেন দলের গহনা বিধায়ক। কোনওদিন তৃণমূল কর্মী বা নেতা ছিলেন না।' এদিন হুগলিরই চন্দননগরে লকেট চট্টোপাধ্যায় (Locket Chatterjee), অর্জুন সিং (Arjun Singh), স্বপন দাশগুপ্তকে (Swapan Dasgupta) সঙ্গে নিয়ে রোড-শো করেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhiari)। সেই রোড-শো থেকে বিধায়ক প্রবীর ঘোষালকে তিনি কার্যত দলত্যাগের বার্তা দিলেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।


আরও পড়ুন: BJP-তে যোগ দিতে চলেছেন আরও এক TMC বিধায়ক


এর আগে গতকাল পুরুলিয়ার জনসভা থেকে মাওবাদীকে প্রসঙ্গ টেনে বিজেপিকে নিশানা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। হুটমুড়ার জনসভায় তিনি বলেন, 'বিজেপি নেতারা নির্লজ্জভাবে নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করতে লোকসভা নির্বাচনের সময় ভুলভাল বুঝিয়ে অনেকের ভোট নিয়ে পালিয়ে গিয়েছে দিল্লি। যাকে লোকসভায় ভোট দিয়েছিলেন তিনি আর আসেন? কোনও কাজ করেছেন? বিজেপি মাওবাদী দলের থেকেও ভয়ঙ্কর। এরা বাঁশ হয়ে ঢুকবে ফালি হয়ে বেরোবে।' শুভেন্দুর পাল্টা, 'রাজনৈতিক অস্থিরতা থেকেই এসব কথা বলছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মাওবাদী, বিচ্ছিন্নতাবাদী বা ভারত বিরোধী শক্তিকে যদি কেউ দমন করে থাকেন, তাহলে তাঁর নাম নরেন্দ্র মোদী। বিজেপি কর্মী হিসেবে নয়, ভারতবাসী হিসেবে বলছি, এমন শক্তিশালী প্রধানমন্ত্রী দেশ আগে দেখেনি।' স্লোগান তুললেন, 'উনিশে হাফ, একুশে সাফ'।