মধ্যরাতে নন্দীগ্রামে শহীদ বেদীতে মাল্যদান Suvenduর, জমায়েতে বোমাবাজির অভিযোগ
ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির ব্যানারে এই অনুষ্ঠানে মোমবাতি হাতে হাজির ছিলেন প্রচুর সাধারণ মানুষ। তবে অভিযোগ, এদিন অনুষ্ঠান চলাকালীন দুষ্কৃতীরা একটি বোমা ফাটায়।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বুধবার মধ্যরাতে নন্দীগ্রামে বোমাবাজির অভিযোগ। এ দিন শহিদ বেদিতে শুভেন্দুর মাল্যদানের সময় ঘটনাটি ঘটে বলেই খবর। মধ্যরাতে নন্দীগ্রাম দিবস পালন করলেন শুভেন্দু অধিকারী। রাত ১২টা বাজার সঙ্গে সঙ্গেই সোনাচূড়ায় পৌঁছন এবং শহিদ বেদীতে মাল্যদান করেন তিনি। ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির ব্যানারে এই অনুষ্ঠানে মোমবাতি হাতে হাজির ছিলেন প্রচুর সাধারণ মানুষ। তবে অভিযোগ, এদিন অনুষ্ঠান চলাকালীন দুষ্কৃতীরা একটি বোমা ফাটায়।
৭ তারিখ ভোরের আলো ফোটার আগে শহিদ স্মরণের অনুষ্ঠান সেরে ফেলেন তিনি। ভাঙাবেড়িয়ায় শহিদ বেদিতে মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানালেন শুভেন্দু অধিকারী। নন্দীগ্রামে শহিদ দিবস পালনে তিনি বিজেপির প্রতিনিধিত্ব করলেন। বললেন,'বিগত দিনগুলিতে অনেকে আসেননি আগামি দিনেও আসবেন না। এ বছর বিধানসভা নির্বাচন। অনেকের অনেক উদ্দেশ্য থাকতে পারে। আমি কোনও রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে এখানে আসিনি। সাধারণের একজন হিসেবে এসেছি।'
আরও পড়ুন; বাড়ি বয়ে BJP-তে যোগদানের প্রস্তাব শঙ্কুর, সিদ্ধান্ত নিইনি: রুদ্রনীল
এ দিন কার্যত তৃণমূলকে তোপ দেহে শুভেন্দুর কটাক্ষ, 'আমি এখানে শহীদ মিনারে আসতে পারব না। ফুলদিতে পারব না। কিন্ত শুভেন্দু অধিকারী এসবের ভয় করে না। আমি রক্ত চক্ষুকে উপেক্ষা করে অনেক লড়াই করেছি। আমাকে এসব করে কিছু হবেনা। আগামিকাল শহীদ মিনার এর গেট খোলা থাকবে কেউ যদি ফুল দিতে চান দিয়ে যাবেন।
২০০৭ সালের ৭ জানুয়ারি। জমিরক্ষা আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত তিনি আন্দোলনকারীর (বিশ্বজিৎ মাইতি, শেখ সেলিম ও ভরত মণ্ডল) দেহ উদ্ধার করা হয় স্থানীয় সোনাচূড়ার ভাঙাবেড়িয়া সেতুর কাছ থেকে। এই তিনজনকেই জমি রক্ষা আন্দোলনের প্রথম শহিদের সম্মান দেন আন্দোলনকারীরা। তাঁদের স্মরণ করেই প্রতি বছর ভাঙাবেড়িয়ায় শহিদ বেদীতে মাল্যদান করে তৃণমূল নেতৃত্ব।
উল্লেখ্য, নন্দীগ্রাম দিবস পালন করল তৃণমূলও। ভাঙাবেড়ায় শহিদ বেদিতে মাল্যদান করেন তৃণমূল নেতা সুব্রত বক্সি। ছিলেন শেখ সুফিয়ান সহ জেলার অন্যান্য নেতারা। সকাল নটায় নন্দীগ্রাম কলেজ মাঠে সভা করবে তৃণমূল কংগ্রেস।