নিজস্ব প্রতিবেদন: গত কয়েক সপ্তাহ ধরে রাজ্য রাজনীতিতে তোলপাড় চলছিল শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে। তারপর একপ্রকার প্রত্যাশা মতোই বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিলেন তিনি। আজ তিনি বিধানসভার সচিবের কাছে গিয়ে তাঁর ইস্তফাপত্রটি জমা দিয়ে আসেন। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এখন প্রশ্ন উঠছে, বিধানসভার অধ্যক্ষের কাছ ইস্তফাপত্র জমা না দিয়ে তিনি সচিবের কাছে জমা দিয়েছেন, এতে কি ইস্তফা গৃহীত হবে? ইস্তফার দেওয়ার নিয়ম কি ঠিকমতো পালন করা হল?


আরও পড়ুন-আগামীকাল বিকেলে লঞ্চ হতে চলেছে ভারতের ৪২তম communication satellite


জানা যাচ্ছে, নিয়ম অনুযায়ী কোনও বিধায়ক তাঁর বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিতে চাইলে তাঁকে অধ্যক্ষের সঙ্গে দেখা করে তাঁর সামনে বসে ইস্তফাপত্র লিখতে হয় ও সাক্ষর করতে হয়। পাশাপাশি এটি নির্দিষ্ট বয়ান অনুযায়ী ঘোষণা করতে হয়, কোনও চাপের মধ্যে পড়ে তিনি বিধায়কপদ ছাড়ছেন না। তারপর তা অধ্যক্ষের কাছে জমা দিতে হয়। সূত্রের খবর তাঁর ইস্তফাপত্রে কোনও তারিখ নেই। সূত্রের আরও খবর, শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) ইস্তফা গ্রহণ করা হয়নি। কারণ বিধানসভার সচিবের ইস্তফা গ্রহণের কোনও এক্তিয়ার নেই। আজ শুভেন্দু এসব কিছুই করেননি। ফলে এক্ষেত্রে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে আদৌ কি শুভেন্দুর ইস্তফা গৃহীত হবে!


উল্লেখ্য, বুধবার বিকেল পৌনে চারটে নাগাদ বিধানসভা ভবনে যান নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী(Suvendu Adhikari)। তাঁর সঙ্গে ছিলেন কংগ্রেস বিধায়ক সুদীপ মুখোপাধ্যায়। হাতে লেখা ওই ইস্তফাপত্রটি তিনি জমা দেন বিধানসভার সচিব অভিজিত্ সোমের কাছে। ওই ইস্তফাপত্র দ্রুত গ্রহণ করার অনুরোধও জানান তিনি। 


এদিকে, শুভেন্দু যেসময় বিধানসভায় যান তার আগেই বিধানসভা থেকে বেরিয়ে গিয়েছেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়(Biman Banerjee)। ফলে তিনি ইস্তফাপত্রটি জমা দিয়ে আসেন সচিবের কাছে। পাশাপাশি বিধানসভা স্পিকারকে ওই ইস্তফাপত্রটি মেল করে দিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। এবার হয়তো তৃণমূল মহাসচিবের কাছেও  শুভেন্দু তাঁর ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দেবেন বলে মনে করা হচ্ছে।


আরও পড়ুন-PM CARES সরকারি নাকি বেসরকারি ফান্ড! কী বলছে নথি! 


এনিয়ে তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partho Chatterjee) বলেন, বিধায়ক পদ ছাড়ার কী আছে! আর পাঁচ মাস পর ভোট। শুনেছি অধ্যক্ষের কাছে ইস্তফাপত্র জমা দেননি। নিয়ম অনুযায়ী অধ্যক্ষের কাছে দেওয়া উচিত ছিল। অধ্যক্ষ গোটা বিষয়টি বিচার করবেন।


অন্যদিকে, সচিবের কাছ ইস্তফাপত্র জমা দেওয়া নিয়ে বিজেপি নেতা মুকুল রায়(Mukul Roy) বলেন, যতদূর আমি জানি তাতে, যদি অধ্যক্ষ না থাকেন তাহলে সচিবের কাছে ইস্তফাপত্র জমা দেওয়া যেতে পারে। সচিব জিজ্ঞাসা করতে পারেন, আপনি কোনও চাপে পড়ে ইস্তফা দিচ্ছেন কিনা। এর পরই ইস্তফার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যায়।