নিজস্ব প্রতিবেদন- ''আমি জানি সংবাদমাধ্যম ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা অপেক্ষা করে আছেন। তারা আমার মুখ থেকে কিছু শুনতে চান। আমি বলব। সব বলব। রাজনীতিতে সেই পথেই এবার হাঁটব যেখান দিয়ে গেলে আমাকে আর হোঁচট খেতে হবে না। তবে আজ আমি রাজনৈতিক মঞ্চে আসিনি। নন্দীগ্রামের এই পবিত্র মঞ্চ রাজনীতির জায়গা নয়। এখান থেকে আমি কোনও রাজনৈতিক বার্তা দেব না। রাজনীতির কথা সময় মতো বলব। আর সেটা বলব রাজনৈতিক মঞ্চ থেকে।'' শুভেন্দু অধিকারী কথাগুলো বলার পরই হাততালিতে ফেটে পড়ে নন্দীগ্রামের অরাজনৈতিক মঞ্চ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গোকুলনগরের মঞ্চ থেকে তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী বড়সড় ইঙ্গিত দিলেন বটে। তবে স্পষ্ট করে কিছু বললেন না। এক সময় রাজ্য রাজনীতির পট বদলে দিয়েছিল নন্দীগ্রাম। সেখান থেকেই আবার নতুন রাজনৈতিক জল্পনার জন্ম দিলেন শুভেন্দু। নন্দীগ্রামের হাজরাকাটা ও চৌরঙ্গীতে আজ তৃণমূলের দুটি শহিদ স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হবে। তবে তার আগেই সভায় অংশ নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী ব্যাপক জনসমর্থন আদায় করে নিলেন। বললেন, 'চেনা বামুনের পৈতে লাগে না। গত ১৩ বছর ধরে এই দিনে আমিই এখানে আপনাদের কাছে এসেছি। আজ পরব আসায় নন্দীগ্রামের কথা মনে পড়েছে।' আজ বিকেলেই অন্য একটি সভায় নন্দীগ্রামে যাচ্ছেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমৎ তার আগেই শুভেন্দুর এই কটাক্ষ। এমনিতে গত কয়েকদিনে আমরা দাদার অনুগামী ব্যানারে একের পর এক জনসভা করছেন শুভেন্দু অধিকারী। আর তার জেরেই তাঁর রাজনৈতিক ভবিষ্যত্ নিয়ে জল্পনা বাড়ছে। 


আরও পড়ুনরাজনৈতিক হিংসার বলি হওয়া মানুষদের শ্রদ্ধার্ঘ, নন্দীগ্রাম দিবসে লিখলেন মুখ্যমন্ত্রী


শুভেন্দু অধিকারীর নামে জেলায় জেলায় ব্যানারের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। তৃণমূল অবশ্য বলছে, এসব বিরোধী শিবিরের চক্রান্ত। যদিএ বাস্তবের ভিত্তি সে কথা বলছে না। হাওড়া, নদীয়া, বাঁকুড়াসহ একাধিক জেলায় আমরা দাদার অনুগামী লেখা পোস্টার পড়ছে। আর ততই শুভেন্দু অধিকারীর দলবদলের জল্পনা গাঢ় হচ্ছে।