সোমা মাইতি 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রাতের কনকনে ঠাণ্ডা, ভোরের হিম উপেক্ষা করেই চলছে টহলদারি। প্রত্যেকের হাতেই টর্চ, হুইসেল। খোলা জায়গায় শৌচকর্ম রুখতেই এমন অভিনব পদক্ষেপ নিয়েছে মুর্শিদাবাদ। লক্ষ্য জেলাকে নির্মল করা। আর তা করতে হবে চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যেই। 


আরও পড়ুন- বাল্য বিবাহ বন্ধ করতে 'নাটক' কাটোয়ায়


শীতের রাত। তবু রাস্তায় মিছিল। মাঝে মাঝে রাতের নিস্তব্ধতা খান খান করে বেজে উঠছে সুতীব্র হুইসেলের আওয়াজ। ব্যাপারটা কী? মুর্শিদাবাদের প্রতিটি গ্রামেই এখন এই এক ছবি।   গ্রামের মেঠো পথ ধরে এগিয়ে চলেছে মিছিল। সঙ্গী গ্রামের আট থেকে আশি সবাই। লক্ষ্য জেলাকে নির্মল করা। মানুষকে সচেতনতার বার্তা পৌঁছে দেওয়া। খোলা জায়গায় শৌচকর্ম রুখতেই পথে নেমেছেন গ্রামের মানুষ। রাতের টহলদারিতো আছেই। দিনের বেলাতেও রীতিমতো ঢাকঢোল বাজিয়ে চলছে প্রচার। নির্মল বাংলা গড়ার লক্ষ্যে সামিল মুর্শিদাবাদও।


আরও পড়ুন- বিজেপি নেতা জয়কে 'ঘর শত্রু বিভীষণ' বলে আক্রমণ স্ত্রী অনন্যার


নববর্ষের শুরুতেই জেলাবাসীকে নির্মল মুর্শিদাবাদ উপহার দিতে তৎপর এডিএম এনাউর রহমান, এসডিও দিব্য নারায়ণ চ্যাটার্জি, বিডিও রাখী পাল। প্রশাসনের অভিনব উদ্যোগে সামিল হয়েছে মুর্শিদাবাদের স্কুল পড়ুয়ারা। জেলার বিভিন্ন আঞ্চলে আয়োজন করা হচ্ছে প্রচার মিছিল। সেই মিছিলে একই সঙ্গে সামিল স্কুল পড়ুয়ারা এবং প্রশাসনের আধিকারিকরা। বাড়িতে বাড়িতে শৌচালয় বানাতে অভিভাবকদেরও বোঝাচ্ছেন তাঁরা। বাবা-মা'দের পরিবেশ এবং স্বাস্থ্য সচেতন করতে উদ্যোগী পড়ুয়ারাও। স্কুলের কচিকাঁচাদের এই 'মিশন-এ' পাশে পাওয়ায় 'পরিবেশ সচেতন আন্দোলন' আরও ত্বরান্বিত হবে বলেই মত এডিএম, এসডিও, বিডিও-দের।