নিজস্ব প্রতিবেদন: মোদী দেশের অন্যতম সেরা প্রধানমন্ত্রী।  স্বামী সুবীরানন্দ এই কথা বলতেই বেলুড় মঠের অডিটোরিয়ামে হাততালির ঝড়। মোদী অবশ্য ভাবলেশহীন। উল্টে বক্তৃতায় বললেন, ঘরের ছেলে  ঘরে এসেছে। বিবেকানন্দ জন্মজয়ন্তী। প্রতিবার এই দিনটিতে লাখো মানুষের ভিড় হয় বেলুড় মঠে। তবে এবারের জনসমাগম একটু ব্যতিক্রমী। কারণ, মঠের গেস্ট হাউসে প্রধানমন্ত্রী।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

তিনি অতিথি নন। ঘরের ছেলে। সে কথা শনিবার রাতে পৌঁছেই সন্ন্যাসীদের জানিয়ে দিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী। রবিবার সকালে লন কার্টে করে পৌছলেন স্বামীজির শয়নকক্ষে। সেখানে বেশ কিছুটা সময় পুজো-ধ্যান।  সেখান থেকে মূল মন্দিরে, হাঁটু গেরে নত মস্তকে রামকৃষ্ণ স্মরণ।যুব দিবসের অনুষ্ঠানে  ব্রহ্মচারীদের সঙ্গে বৈদিক মন্ত্রোচ্চারণে  নরেন্দ্র মোদী।  এক সময় তিনি সন্ন্যাসী হতে চেয়েছিলেন। বারবার বলেছেন সে কথা। রবিবার সে কথা স্মরণ করালেন। আত্মস্থানন্দজির কথা বলতেই নস্টালজিক হয়ে পড়লেন। এ যেন অন্য মোদী। আপ্লুত সন্ন্যাসীরাও।


আরও পড়ুন- নেই মমতা, এড়িয়ে যাচ্ছেন বহেনজি, আগামিকাল দিল্লিতে বৈঠকের আগে ওয়ার্ম-আপ কংগ্রেসের


বেলুড় মঠ কর্তৃপক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রী নিজে থেকেই ফোন করে  বিবেকানন্দের জন্মদিনে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ এবং বেলুড় মঠে রাত্রিযাপনের ইচ্ছা প্রকাশ করেন। দেশের প্রধানমন্ত্রীর এই ‘আবদার’ ফেলতে পারেনি বেলুড় মঠ। এক মহারাজ কথায়, প্রধানমন্ত্রী সন্ন্যাসী হতে পারেননি, কিন্তু তাঁর মনে ত্যাগ এবং ফকিরি ভাবের উদাহরণ আমরা দেখেছি। রাজভবন বা রাজকীয় সুবিধা ছেড়ে বেলুড় মঠের মতো সাধারণ জায়গায় রাত্রিযাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। স্বামী সুবীরানন্দ বলছেন, প্রধানমন্ত্রী ঘরের ছেলে।


 


এ দিন মহারাজদের সঙ্গে এক আলাপচারিতায় প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, মঠে এসে ৩০ সেকেন্ডের মধ্যেই ঘুমিয়ে পড়েন তিনি। দারুণ ঘুম হয়েছে তাঁর। সকালবেলায় পেঁয়াজ-রসুন ছাড়া উপমা, চিনি ছাড়া দুধ-চা পান করেন। তবে, এ দিন বক্তৃতার সময় সিএএ নিয়ে মন্তব্য করে জোর বিতর্ক তৈরি করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বেলুড় মঠের মতো জায়গায় প্রধানমন্ত্রী এ ধরনের মন্তব্যকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে কটাক্ষ করেন বিরোধীরা। কংগ্রেসের অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, বেলুড় মঠকে রাজনৈতিক আখড়া বানাতে চাইছেন। তবে, এই বিতর্ক এড়িয়ে গিয়ে স্বামী সুবীরানন্দ জানিয়েছেন, জাগতিক বিষয় নিয়ে মন্তব্য করেন না তাঁরা।