নেই মমতা, এড়িয়ে যাচ্ছেন বহেনজি, আগামিকাল দিল্লিতে বৈঠকের আগে ওয়ার্ম-আপ কংগ্রেসের
দিল্লি যাচ্ছেন না মায়াবতীও। কোটার শিশু মৃত্যু নিয়ে সোনিয়া-প্রিয়াঙ্কার হেলদোল নেই, অথচ উত্তরপ্রদেশে পুলিসের গুলিতে মৃতদের বাড়ি ছুটছেন তাঁরা। এই যুক্তিতে বৈঠক এড়িয়ে যাচ্ছেন বহেনজি
নিজস্ব প্রতিবেদন: থাকছেন না মমতা। গরহাজির থাকতে পারেন মায়াবতীও। এমনই পরিস্থিতি কাল দিল্লিতে NRC-CAA-র প্রতিবাদ কর্মসূচির রূপরেখা তৈরি করতে বৈঠকে বসছে বিরোধীরা। তার আগে বৈঠক সেরে নিল কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি। সোনিয়া-প্রিয়াঙ্কা চান, দুই ইস্যুতেই মোদী সরকারকে বিপাকে ফেলতে দেশজোড়া আন্দোলনের স্বর আরও তীব্র হোক।
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে বিরোধী দলগুলির ঐক্যবদ্ধ কর্মসূচির চেহারা কী হবে, তা ঠিক করতে সোমবার দিল্লিতে বৈঠক। সংসদের অ্যানেক্স বিল্ডিং-এ এই বৈঠকের ডাক দিয়েছেন শরদ পওয়ার। সেখানেই CAA- NRC বিরোধী আন্দোলনের পরবর্তী রণকৌশল ঠিক হওয়ার কথা। কিন্তু, তার আগেই বিরোধী শিবিরে ঝটকা। ধর্মঘটের দিন বাম কংগ্রেস গুন্ডামির প্রতিবাদ করে বৈঠক থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল সুপ্রিমো জানিয়ে দিয়েছেন,
সিপিএম-কংগ্রেসের সঙ্গে কিছুতেই আন্দোলন করবেন না। তিনিই সকলের আগে পথে নেমে সিএএ-এনআরসির বিরোধিতা করেন। যেভাবে বনধের নামে গুন্ডামি করা হয়েছে তারপর আর একসঙ্গে আন্দোলন সম্ভব নয়। সেই কারণেই দিল্লিতে সর্বদল বৈঠকে যাবেন না বলে জানান মমতা।
দিল্লি যাচ্ছেন না মায়াবতীও। কোটার শিশু মৃত্যু নিয়ে সোনিয়া-প্রিয়াঙ্কার হেলদোল নেই, অথচ উত্তরপ্রদেশে পুলিসের গুলিতে মৃতদের বাড়ি ছুটছেন তাঁরা। এই যুক্তিতে বৈঠক এড়িয়ে যাচ্ছেন বহেনজি। ফলে স্বভাবতই কিছুটা অস্বস্তি কংগ্রেস শিবিরে। বদলে যাওয়া সমীকরণে বিরোধী ঐক্যের ছবিটা কী হবে? লড়াই কোনপথে চলবে? তা ঝালিয়ে নিতে আকবর রোডে বৈঠক সেরে নেয় কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি। সূত্রের খবর, সোনিয়া মিটিংয়ের শুরুতেই স্পষ্ট করে দেন, বিজেপি সরকার আসলে গোটা দেশেই এনআরসি করতে চেয়েছিল। অসমের অভিজ্ঞতার পর এনআরপি নিয়ে এসেছে। এটা আসলে এনআরসি-র জন্যই পদক্ষেপ। রাজ্যে রাজ্যে আমাদের অভিন্ন সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
আরও পড়ুন- CAA-তে একটা অংশ দেখান যেখানে নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার কথা বলা হয়েছে, মমতাকে চ্যালেঞ্জ শাহর
সূত্রের খবর, NRC-CAA নিয়ে দোশজোড়া আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে মত দেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও। তবে, এনিয়ে কংগ্রেস শাসিত রাজ্যগুলিকে নির্দিষ্ট কোনও নির্দেশ দিতে রাজি নয় কংগ্রেস হাইকম্যান্ড। কারণ, NRP-CAA রদে কোনও নির্দেশ সংবিধান বিরোধী পদক্ষেপ বলে গণ্য হতে পারে। সবমিলিয়ে সোমবার বিরোধী বৈঠকের চেহারাটা ঠিক হবে সেদিকে তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।