নিজস্ব প্রতিবেদন : মুখ্যমন্ত্রী ও স্বাস্থ্য কমিশনের কড়া নির্দেশের পরেও ফের স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে চিকিৎসা পরিষেবা না দেওয়ার অভিযোগ উঠল বারাসতের একটি নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে। টালবাহানায় মৃত্যু হল রোগীর। এমনকি রোগীকে মৃত ঘোষণা করেও, তারপর আবার ভেন্টিলেশনে ভর্তি করে টাকা আদায়েরও অভিযোগ উঠেছে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। পাশাপাশি, নির্দিষ্ট সময় অবজারভেশনে না রেখে মরদেহ ছেড়ে দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে শাকেরা বিবি নামে কদম্বগাছির এক মহিলাকে হার্ট অ্যাটাক জনিত সমস্যায় নিয়ে আসা হয় বারাসতের কাজিপাড়া সংলগ্ন একটি নার্সিংহোমে। অভিযোগ, প্রথমে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোগীকে পরীক্ষা করে মৃত বলে ঘোষণা করে। কিন্তু তারপরই আবার জানায় যে রোগী বেঁচে আছে, ভেন্টিলেশনে দিতে হবে। এজন্য রোগীর পরিবারকে নগদ ৩০ হাজার কাউন্টারে জমা করতে বলে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ। 


অভিযোগ, সেইসময় রোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের কথা জানানো হলে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ তা নিতে অস্বীকার করে। রোগীর পরিবার তখন ১৭ হাজার টাকা জোগাড় করে নার্সিংহোমে জমা দেয়। এর কিছুক্ষণ পরই নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের তরফে রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে রোগীর পরিবারকে জানানো হয়। বিতর্কের এখানেই শেষ নয়। ১ ঘণ্টা পরই ছেড়ে দেওয়া হয় রোগীর মরদেহ। যার ফলে প্রশ্ন উঠছে, তবে কি রোগীর আগেই মৃত্যু হয়েছিল? তাহলে ভেন্টিলেশনে দেওয়া হল কেন?



আরও পড়ুন, Cyber Crime: KYC আপডেটের ফাঁদ! উত্তরপাড়ার বৃদ্ধের ৩ অ্যাকাউন্ট থেকে গায়েব ৩ লাখ


এঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়ে রোগীর পরিবারের লোকজন। নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষে শাস্তির দাবি তুলেছে রোগীর পরিবার-পরিজনরা। বিক্ষোভের খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে আসে বারাসত থানার পুলিস। যদিও টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করেছে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ। একইসঙ্গে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের দাবি, কোনও নিয়ম ভেঙে মরদেহ ছাড়া হয়নি। মরদেহ ছাড়ার জন্য কোনওরকম অবজারভেশনের সময় লাগে না। যদিও, বারাসত হাসপাতালের সুপার সুব্রত মন্ডলের স্পষ্ট কথা, সরকারি বা বেসরকারি হাসপাতাল বলে কোনও কথা নেই। রোগী মৃত্যুর পরে সাড়ে ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা রেখে অবজারভেশন করাটাই সমস্ত হাসপাতালের নিয়ম।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)