নিজস্ব প্রতিবেদন:  কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে ‘নিগ্রহ’, প্রতিবাদে ভাঙচুর, আগুন, চে-র ছবিতে কালি-বেনজির ‘সন্ত্রাস’-এর সাক্ষী হয়ে থাকল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। গতকালের এই ঘটনায় এখন তপ্ত বঙ্গের রাজনীতি। তারইমধ্যে বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী ও মেঘালয়ের রাজ্যপাল তথাগত রায়ের টুইট যুদ্ধ যেন অনুঘটকের কাজ করল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 



বৃহস্পতিবার ঘটনার পরই টুইট করেন সুজন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, “বাবুল সুপ্রিয়র ঔদ্ধত্য স্পষ্ট দেখা গিয়েছে।” তাঁর কটাক্ষ, বাবুল জানেন না কীভাবে ব্যবহার করতে হয়! কীভাবে উপাচার্যের সঙ্গে কথা বলতে হয়! পরিকল্পিতভাবে উস্কানিমূলক পরিস্থিতি তৈরি করেছিলেন তিনি।


এই টুইটের পরই পাল্টা টুইট করেন মেঘালয়ের রাজ্যপাল তথা প্রাক্তন রাজ্য বিজেপি সভাপতি তথাগত রায়। সুজনের টুইটের পাল্টা তিনি বলেন, “আপনি অর্ধেক সত্য মানুষের কাছে পরিবেশন করতে চাইছেন। জাতিয়তাবাদবিরোধী একদলকে ধোয়া তুলসিপাতা হিসাবে প্রমাণ করতে চাইছেন। আমি গোটা ঘটনাটি সংবাদমাধ্যমে দেখেছি। এখনকার দিনে সত্যিটা লুকিয়ে রাখা বড্ড কঠিন।”



তবে শুধু এই একটি টুইটই করেননি তথাগত রায়। এরপর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিক্ষোভরত ছাত্রছাত্রীদের ‘মাওবাদী’ অ্যাখ্যা দিয়েও একটি টুইট করেছেন তিনি। বলেছেন, “যেভাবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে কোনও প্ররোচনা, উস্কানি ছাড়াই একদল মাওবাদী হেনস্থা করল, তা দেখে আমি লজ্জিত। আমি কোনওদিনই ফ্যাসিবাদ আর উগ্র বামপন্থা আন্দোলনের মধ্যে কোনও পার্থক্য খুঁজে পাইনি। যেন একই কেকের দুই পিঠ!''



প্রসঙ্গত, অমিত শাহ-র রোড শো ঘিরে যেভাবে উত্তাল হয়ে উঠেছিল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ও বিদ্যাসাগর কলেজ, যেভাবে বিদ্যাসাগরে মূর্তি ভাঙচুর করেছিল উন্মত্ত দল, তারপরই ফের শিক্ষাঙ্গণে একই ধরনের সন্ত্রাসের সাক্ষী থাকল যাদবপুর। আর সেই সন্ত্রাস নিয়েই শুক্রবার সকাল থেকে তপ্ত বঙ্গের রাজনীতি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে যেভাবে আটকে রাখা হল, যেভাবে ‘আক্রমণাত্মক’ বিক্ষোভ দেখানো হল, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই নিন্দার ঝড় উঠেছে সব মহলে। তবে তার প্রতিবাদে যেভাবে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ভাঙচুর চলল, গোটা ক্যাম্পাস দাপাল একটা দল, তারও ব্যাখ্যা খুঁজে পাচ্ছেন না বিশ্লেষকরা।