নিজস্ব প্রতিবেদন: অভাব তাঁকে স্কুলছুট করেছিল। তাই তিনি চাননি, কোনও শৈশবকে শিক্ষার আলো থেকে দূরে রাখতে। গাজি জালালুদ্দিন। ট্যাক্সি চালিয়ে গড়েছেন স্কুল। আরও এগিয়ে যেতে চান। সেই পথ চলায় পাশে দাঁড়াল কৌন বানেগা ক্রোড়পতি টিম।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


আদো আদো গলাটা বলত, আমি ডাক্তার হতে চাই। ক্লাসের ফার্স্ট বয়। প্রবল দারিদ্র। ক্লাস থ্রি-তে পড়াশোনা বন্ধ ক্ষুধার রাজ্যে গদ্যময় পৃথিবীটা এরপর সুন্দরবন থেকে মহানগরের ফুটপাথ। শিশু জালালুদ্দিনের ভিক্ষা করে কোন মতে জোটে এক বেলার খাবার।


আরও  পড়ুন- শ্বশুরবাড়ি এসে পড়শির সঙ্গে পরকীয়া জামাইয়ের! হাতেনাতে ধরা পড়ে সোজা বিয়ের পিঁড়িতে


কৈশোর টানত রিকশা। গাজি জালালুদ্দিন নামটা উবে গেল। এন্টালি মার্কেটে হাঁক দিয়ে ডেকে যেত কেউ, এই রিকশা। ফুটপাথ ছেড়ে ফুলবাগানের পুরনো বাড়ির সিঁড়ির তলায় তখন সংসার। ভাড়া তেরো টাকা। হাল ছাড়েননি। ট্যাক্সি চালানো শেখেন। তখন নতুন স্বপ্ন দেখা শুরু।



স্কুল গড়ে তোলেন জালালুদ্দিন। আকারে বড় হয়ে এখন স্কুল দুটি, আর অনাথ আশ্রম একটি। এই অনন্য সাধারণ মানুষটিকে প্রথম খুঁজে বের করে জি চব্বিশ ঘণ্টা। অনন্য সম্মানের মঞ্চে সম্মানিত হন তিনি।


আরও  পড়ুন- পরকীয়ায় আপত্তি, গৃহবধূর শরীরের একাধিক স্থানে কামড় অভিযুক্তের


কিছুদিন আগে ডাক আসে কৌন বানেগা ক্রোড়পতি থেকে। সেখানে হট সিটে তাঁর পাশে আমির খান। আর সামনে বিগ বি অমিতাভ বচ্চন। হাতে স্টিয়ারিং। চাকাটা এখনও ঘোরে। দিন শেষ হয়ে রাত আসে। শরীরে ক্লান্তি জড়িয়ে আসে। তবু থামেন না জালালুদ্দিন। চোখে যে এখনও স্বপ্ন। এবার একটা কলেজ গড়তে চান তিনি।