Siliguri: বাজেটে চা বাগান নিয়ে কোনও কথাই নেই, বিজেপি সাংসদের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ শ্রমিকদের
ঋতব্রত জানান , `কমিটিতে বিজেপির অনেকেই চেয়ার আলো করে বসে আছেন। কমিটিতে রাজ্য কেন্দ্র উভয়ই থাকে। কেন্দ্র যদি মিনিমান ওয়েজ ঘোষণা করে দেয় রাজ্য সরকার কাল থেকেই নূন্যতম মজুরি ঘোষণা করে দেবে।`
নারায়ণ সিংহ রায়: পাহাড়-তরাই-ডুয়ার্স-সহ চা বাগানের একাধিক কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে মাটিগাড়ায় দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্টের বাড়ির সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করল তৃণমূলের চা শ্রমিক সংগঠন। তরাই-ডুয়ার্সের বিভিন্ন চা বাগান শ্রমিকরা অংশগ্রহণ করেন ওই বিক্ষোভ অবস্থানে। কর্মসূচিতে অংশ গ্রহণ করেন ,আইএনটিটিইউসির সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ দার্জিলিং জেলা তৃণমূলের(সমতল) সভাপতি পাপিয়া ঘোষ-সহ তৃণমূলের চা শ্রমিক সংগঠনের অন্যান্য নেতারা।
আরও পড়ুন- কপালে তিলক নিতে অস্বীকার করলেন সিরাজ-উমরান! তীব্র কটাক্ষ সোশ্যাল মিডিয়াতে
এবার কেন্দ্রের পেশ করা বাজেট নিয়ে দার্জিলিং ও জলপাইগুড়ির সাংসদদের একহাত নিলেন ঋতব্রত। তৃণণূল নেতা বলেন, "শুধুমাত্র রাজু বিস্টের বাড়ির সামনেই নয়, জন বার্লা, মনোজ টিজ্ঞা, দুর্গা মুর্মু , আনন্দময় বর্মন সকলের বাড়ির সামনেই এই অবস্থান বিক্ষোভ করছি। আমরা কারও বাড়ির ভেতর ঢুকে যায়নি, শান্তিপূর্ণভাবে কেন্দ্রের প্রতিনিধিদের বাড়ির সামনে চা বাগানের শ্রমিকদের নূন্যতম দাবি নিয়ে বিক্ষোভ অবস্থান করছি। জলপাইগুড়ি, আলিপুরদূয়ার থেকে আমাদের এই আন্দোলন শুরু হয়েছে। পিএফের হাজার কোটি টাকার বহু দিনের সমস্যার আজও কোন সমাধান নেই। কেন্দ্রের থেকে চা বাগানকে কেন্দ্র করে বহু কথা বলা হয়েছে কিন্তু তার কোন প্রতিফলন।নেই। এ-র জবাব নেই।"
অন্যদিকে বাজেট নিয়ে ঋতব্রতর আরও বলেন, "গোটা বাজেটে চা বাগান শব্দটাই নেই। হাজার কোটি টাকার চা বাগানের জন্য বরাদ্দ ঘোষণা করা হয়েছিল, তার একটা টাকাও আসেনি। গোটাটাই মিথ্যাচার। এর জবাব রাজু বিস্ট বা জন বার্লাদেরই নিতে হবে।"
অন্যদিকে চা শ্রমিকদের নূন্যতম মজুরি নিয়ে ঋতব্রত জানান , "কমিটিতে বিজেপির অনেকেই চেয়ার আলো করে বসে আছেন। কমিটিতে রাজ্য কেন্দ্র উভয়ই থাকে। কেন্দ্র যদি মিনিমান ওয়েজ ঘোষণা করে দেয় রাজ্য সরকার কাল থেকেই নূন্যতম মজুরি ঘোষণা করে দেবে।" গোটা বাজেটটা দুবার পড়েছি। চা বাগান নিয়ে কোনও কথা নেই। এর দায় রাজু বিস্তাকেই নিতে হবে। অন্য কারও কাছে কেন যাব? মনোজ টিগ্গা, জন বার্লাদেরই এর দায় নিতে হবে। বাজেটে কোনও টাকাই চা বাগানের জন্য বরাদ্দ করা হয়নি। মোদীজি বলেছিলেন ৭টি চা বাগান অধিগ্রহণ করা হবে। একটাও করেনি। এর জবাব তো রাজু বিস্তার কাছেই চাইব। রাজ্য সরকার চা সুন্দরী প্রকল্প চালু করেছে, চা শ্রমিকদের জন্য হেলফ সেন্টার চালু করেছেন, ক্রেস, শ্রমিকদের আইডি কার্ড দেওয়া হয়েছে। মিথ্যে ঘোষণা দিয়ে যান মোদী। আর শ্রমিকের স্বার্থে চা বাগান খোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এটায়ে সত্যি তা এখানে এলে বোঝা যায়।
উল্লেখ্য, তাঁর বাড়ির সামনে অবস্থান বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে দার্জিলিং সাংসদ রাজু বিস্টকে ফোন করা হলে তিনি কোন উত্তর দেননি।