নিজস্ব প্রতিবেদন : দীর্ঘদিন ধরে একাধিক ছাত্রীকে হোয়াটসঅ্যাপ, মেসেঞ্জারে আপত্তিকর মন্তব্য করা ও নানা অছিলায় তাদের আপত্তিকরভাবে স্পর্শের অভিযোগ উঠল এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম বাপি প্রামাণিক। এই ঘটনার প্রতিবাদে ও দোষী শিক্ষকের শাস্তির দাবিতে আজ স্কুলে বিক্ষোভ দেখায় ছাত্রছাত্রীরা। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের কৈলাসচন্দ্র রাধারানি বিদ্যাপীঠ স্কুলে। এই ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ও চাঞ্চল্য ছড়ায় স্কুল চত্বরে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


রায়গঞ্জ শহরের কসবা এলাকায় অবস্থিত 'কৈলাসচন্দ্র রাধারানি বিদ্যাপীঠ'। ওই বিদ্যালয়েরই ভূগোলের শিক্ষক বাপি প্রামাণিক। অভিযোগ, বিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন ছাত্রীকে তিনি হোয়াটসঅ্যাপ ও মেসেঞ্জারে আপত্তিকর পোস্ট করতেন। এমনকি রাতের বেলায় ছাত্রীদের ভিডিয়ো কলও করতেন। এধরনের আচরণের জন্য ওই শিক্ষককে ছাত্রীরা সাবধানও করেছিল। কিন্তু তারপরেও ওই শিক্ষকের আচরণের কোনও সংশোধন হয়নি। বরং আরও অভিযোগ, বাড়িতে পড়ানোর সময়ও নানা অছিলায় ছাত্রীদের জড়িয়ে ধরার চেষ্টা করতেন অভিযুক্ত বাপি প্রামাণিক। আপত্তিকরভাবে স্পর্শ করতেন ছাত্রীদের।


ছাত্রীদের দাবি, বারবার বারণ করা সত্ত্বেও তিনি কোনও কথা কানে তোলেননি। উপরন্তু দিনের পর দিন ধরে বেড়েই চলেছিল এই ধরনের আচরণ। এই ঘটনায় সুবিচারের দাবিতে আজ স্কুলে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে নির্যাতিতা ছাত্রীরা। অভিযুক্ত শিক্ষকের যথোপযুক্ত শাস্তির দাবি জানাতে থাকে। তাদের এই আন্দোলনে যোগ দেন বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রীরাও। তাঁরাও একইভাবে ওই শিক্ষকের হাতে নিগৃহীত হয়েছিলেন বলে অভিযোগ করেন। এই ঘটনায় আজ ব্যাপক উত্তেজনা ও চাঞ্চল্য ছড়ায় স্কুলে।


আরও পড়ুন, 'কোলে বসায়, তারপর...', স্কুলের মধ্যে ছাত্রীদের লাগাতার যৌন হেনস্থা যোগাসন শিক্ষকের!


এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে স্কুলের প্রধান শিক্ষক উৎপল দত্ত জানিয়েছেন, কোনও শিক্ষক এধরনের জঘন্য কাজ করে থাকতে পারেন, তা তিনি ভাবতেই পারছেন না। ছাত্রীদের কাছ থেকে পাওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে আলোচনা করে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে। তবে আজ স্কুলে অভিযুক্ত শিক্ষক বাপি প্রামাণিকের সাক্ষাৎ মেলেনি।