নিজস্ব প্রতিবেদন:  মরশুমের শুরুতেই ‘চরিত্র বদলে’ যা চমকে দিয়েছিল, তাতে মনে হচ্ছিল এবার বুঝি কাঁপুনি ধরাবে না শীত। দফায় দফায় নিম্নচাপ-ঘূর্ণাবর্তের হামলায় বারে বারে হোঁচট খেয়েছে সে। তাই,  গঙ্গাসাগরের স্নানের পর থেকেই  খেল দেখাতে শুরু করল শীত। নতুন বছরের শুরুতেই অবশেষে জাঁকিয়ে পড়ল ঠান্ডা। তবে এর স্থায়িত্ব কতদিন?  তা নিয়েই সংশয় আছে খোদ আবহাওয়া দফতরেরই।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: মাটিমেলা থেকে উদ্ধার কয়েক লাখ ডিজিটাল রেশন কার্ড


দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে কনকনে হাওয়া বইতে শুরু করায় আপাতত তার কোমরে কিছু জোর ফিরেছে শীতের। বৃহস্পতিবার কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।  স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি কম। রাতের তাপমাত্রা নেমে এসেছে স্বাভাবিকের নীচে।


সারা দিনই বয়েছে উত্তরের ঠান্ডা হাওয়া। রোদ গায়ে লাগেনি। এসব দেখে শীতপ্রেমিকদের অনেকেই আশা করছেন,  ঝিমিয়ে থাকা ঠান্ডা অবশেষে লম্বা দাপুটে ইনিংস খেলতে চলেছে। রাজ্যের জেলাগুলিতেও একই চিত্র। আসানসোল, কোচবিহার, মালদহ, কৃষ্ণনগরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বৃহস্পতিবার ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে ছিল। শান্তিনিকেতনের তাপমাত্রা ছিল ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।


আরও পড়ুন: 'সাদামাটা' অর্জুনের স্টাইল আইকন চন্দ্রবাবু


শীতের অযাচিত এই দান দু’হাত ভরে নিয়েছেন অনুরাগীরা। ছুটির দিনে ময়দান, চিড়িয়াখানা, বনভোজনের মজা চেটেপুটে খাচ্ছেন তাঁরা। কিন্তু এই শীতের স্থায়িত্ব কতদিন? তা নিয়েই ধন্দে রয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। কারণ মাঝমধ্যেই পশ্চিমী ঝঞ্ঝা, নিম্নচাপ কিংবা ঘূর্ণাবর্ত শীতের পথে বাধা তৈরি করছে। যদিও হাওয়া অফিসের মতে, এখন কোনও ঘূর্ণাবর্ত কিংবা পশ্চিমী ঝঞ্ঝার আভাস নেই। আগামী কিছুদিন শীত জাঁকিয়ে পড়বে বলেই আশাবাদী আবহাওয়াবিদরা।