নিজস্ব প্রতিবেদন : শহরে শীতের দাপট অব্যাহত। উত্তুরে হাওয়ায় পারদ আরও কিছুটা নামল। সেইসঙ্গে আরও জাঁকিয়ে পড়ল ঠান্ডা। বৃহস্পতিবার শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১৩.৯ ডিগ্রি সেলসিয়স। স্বাভাবিকের চেয়ে যা ১ ডিগ্রি কম। বুধবার ছিল ১৪.১। কলকাতায় পাশাপাশি জেলাজুড়েই বেড়েছে শীতের দাপট।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বাঁকুড়া


শীতের কামড় পশ্চিমের জেলাগুলিতে। বাঁকুড়ায় ক্রমশ বাড়ছে ঠান্ডা। সন্ধে হলেই কার্যত ঘরবন্দি জেলাবাসী। সকালেও প্রায় শুনসান পথঘাট। ঠান্ডার সঙ্গে রয়েছে কুয়াশার দাপটও। পারদ নামতেই রাস্তার ধারে আগুন জ্বালিয়ে একটু উষ্ণতার খোঁজে মানুষজন।


ঝাড়গ্রাম


বৃষ্টির আগে থেকেই জাঁকিয়ে শীত পড়েছিল। বৃষ্টির পর শীত আরও বেড়েছে। প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় জবুথবু ঝাড়গ্রাম সহ গোটা জঙ্গলমহল। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির আশেপাশে ঘোরাফেরা করছে। সকাল থেকে হালকা কুয়াশা। শুধু স্থানীয় বাসিন্দারাই নন, শীতের এই দুরন্ত ইনিংস চুটিয়ে উপভোগ করছেন পর্যটকরাও।


শিলিগুড়ি


উত্তরে শিলিগুড়ি ও সংলগ্ন এলাকায় জাঁকিয়ে পড়েছে শীত। আকাশে মেঘ থাকলেও কুয়াশার দাপট সেভাবে নেই কুয়াশা। ডিসেম্বরের চেনা ছবি শিলিগুড়ি শহরে। দার্জিলিংয়ে তুষারপাতের জেরে শহরের তাপমাত্রা আরও নামতে পারে বলে মনে করছেন শহরের বাসিন্দারা। শীতকে চুটিয়ে উপভোগ করছেন তাঁরা। বরফ দর্শনে অনেকে পাড়ি দিচ্ছেন গ্যাংটকে।


উত্তর দিনাজপুর


উত্তর দিনাজপুরও শীতের দাপট অব্যাহত। সকাল থেকে ঘন কুয়াশায় ঢেকে গেছে রায়গঞ্জ শহর। বুধবার দিনভর সূর্যের দেখা মেলেনি। আজও সকাল থেকে যেভাবে চালিয়ে খেলছে শীত, তাতে সূর্যের দেখা মেলা ভার।


দক্ষিণ দিনাজপুর


নিম্নচাপ কাটতেই বুধবার থেকে একটু একটু করে পরিষ্কার হয়েছে আকাশ। আর তারপর থেকেই নামতে শুরু করেছে দক্ষিণ দিনাজপুরের তাপমাত্রা। সঙ্গে রয়েছে কুয়াশার দাপট। বৃহস্পতিবার সকালে কার্যত গৃহবন্দি বালুরঘাটের বাসিন্দারা। শহরে বসেই নাকি দার্জিলিংয়ের আবহাওয়া উপভোগ করছেন তাঁরা! এমনটাই বলছেন  বালুরঘাটের বাসিন্দারা।


আরও পড়ুন, অক্ষম! মৃত্যুর অপেক্ষায় ৯০ বছরের 'বৃদ্ধ' ৩ নম্বর


পূর্ব বর্ধমান


 

শুধু উত্তরবঙ্গ আর পশ্চিমের জেলাগুলি নয়। উত্তুরে হাওয়া রীতিমতো সক্রিয় বর্ধমানেও। পূর্ব বর্ধমানের কালনায় গতকাল রাত থেকেই পড়েছে জাঁকিয়ে শীত। সঙ্গে রয়েছে ঘন কুয়াশা। শীতের হাত থেকে বাঁচতে তাই রাস্তার পাশে আগুন পোহাচ্ছেন মানুষজন।


মুর্শিদাবাদ


গঙ্গার এপারে মুর্শিদাবাদ। উত্তর থেকে ধেয়ে আসা হাওয়া ভাগীরথী পেরিয়ে সোজা ঢোকে জেলায়। তাতেই এক্কেবারে জবুথবু দশা। কনকনে ঠান্ডার সঙ্গে রয়েছে কুয়াশার দাপট। ঘন কুয়াশার কারণে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে ধীরে চলছে যানবাহন। যদিও শীত উপভোগ করছেন বলেই জানিয়েছেন বহরমপুরের বাসিন্দারা।


নদিয়া


শীতের দাপট নদিয়াতেও। সকাল থেকে জাঁকিয়ে ঠান্ডা। দৃশ্যমানতা কমে যাওয়ায় নদিয়াতেও ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে যান চলাচলের গতি অত্যন্ত স্লথ। তবে চুটিয়ে ঠান্ডা উপভোগ করছেন প্রাতঃভ্রমণকারীরা।