নিজস্ব প্রতিবেদন: কাটোয়া শহর-সহ গোটা মহকুমা জুড়ে যে ভাবে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে তা নিয়ে চাপানউতোর তৈরি হয়েছে কাটোয়া পুরসভা এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের মধ্যে। এই চাপানউতোরের নেপথ্যে রয়েছে পরিসংখ্যান।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কাটোয়া পুরসভার তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে, এই মুহূর্তে কাটোয়া জুড়ে যে ৮১ জন করোনা আক্রান্ত তাঁদের মধ্যে ৫৩ জন হাসপাতালে চিকিতসাধীন ছিলেন। তারমধ্যে কাটোয়া শহরে আজ পর্যন্ত করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩৪ জন। এরমধ্যে ২৪ জন আছে যারা চিকিৎসার কারণে কাটোয়া হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন । এদের মধ্যে ১১ জন প্রসূতি আছেন। এই পরিসংখ্যানকে সামনে রেখে কাটোয়া পুরসভা চাইছে আগামী তিনদিন কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের জরুরি বিভাগ ছাড়া সব বিভাগ বন্ধ রেখে পুরো হাসপাতালকে স্যানেটাইজড করতে। এই প্রসঙ্গে কটোয়া পুরসভার পুরপ্রশাসক এবং বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চ্যাটার্জী জানান, গত ৫-৬দিনে কাটোয়াতে যারাই করোনা আক্রান্ত হয়েছে তারাই হাসপাতালে চিকিতসাধীন ছিলেন। আমাদের মনে হচ্ছে কাটোয়া হাসপাতালের সব ওয়ার্ডে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে গেছে। তাই মহকুমাশাসককে চিঠি দিয়ে পুরো হাসপাতাল কীভাবে স্যানেটাইজড করা যায় সেটা জানিয়েছি  সংক্রমণ নিয়ে আমরা খুব চিন্তায় আছি।


আরও পড়ুন: মন্বন্তরের দিকে এগোচ্ছে বাংলা, কাজে লাগান বিরোধীদের, মমতাকে পরামর্শ সুজন-অধীরের
 
কাটোয়ার পুরপ্রশাসকের এই অভিযোগ নিয়ে ভিন্নমত মত দেন কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের সুপার ডাঃ রতন শাসমল এবং ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের কাটোয়া শাখার সম্পাদক তথা হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগের চিকিতসক ডাঃ সোমনাথ মুখোপাধ্যায়। তাঁদের দাবি, এইভাবে অভিযোগ করা ঠিক নয়। কারণ যাদের রিপোর্ট পজেটিভ এসেছে তাঁদের হাসপাতালের ভর্তি করার পরের দিনই করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে । চিকিতসাশাস্ত্র বলে একদিনে কেউ করোনা আক্রান্ত হয় না। ভাইরাস ঢোকার ৫-৬ দিন পর কোভিড১৯-এ আক্রান্ত হয় । তাই হাসপাতালে চিকিতসা করতে এসে যাদের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে তাঁরা আগেই করোনা আক্রান্ত ছিলেন । এটা ঠিক নয় যে হাসপাতালে চিকিতসা করাতে এসে করোনা আক্রান্ত হয়েছে । পুরো হাসপাতাল ৩ দিন বন্ধ রাখা কার্যত অসম্ভব । তবে আমরা আমাদের উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষকে পুরো বিষয়টি জানিয়েছি । আলোচনার মাধ্যমে যা সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে সেটাই আমরা করব ।
 
এই বিষয়টি মাথাচাড়া দিয়েছে রবিবার কাটোয়া শহরে সাড়ে চার বছরের এক  শিশুর করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসায় । পরিবারের সদস্যদের দাবি বাড়িতে খেলতে গিয়ে  ছাদ থেকে পা হড়কে পড়ে গিয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে ২১ জুলাই বিকালে  কাটোয়া মহকুমা  হাসপাতালে ভরতি হয় । মাত্র একদিন  শিশুবিভাগে ছিল। রবিবার হাসপাতাল থেকে  শিশুটির করোনা  আক্রান্তের খবর আসায় পরিবারের লোকেদের এখন চোখেমুখে আতঙ্ক গ্রাস করেছে। শিশুর পরিবারের  দাবি  ছেলেকে  সুস্থ করাতে  গিয়ে আরও অসুস্থ হয়ে পড়ল। এলাকার মানুষও চাইছে হাসপাতলটি পুরো স্যানেটাইজড করা হোক ।