ওয়েব ডেস্ক : হৃদয়পুর হত্যাকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য পুলিসের হাতে। অনুপমের মৃত্যুর পর সমাজের সামনে নিজেকে শোকাতুর প্রমাণ করতেও ভেখ ধরেছিল মনুয়া। অনুপমের দেহ দেখেনি সে। কারণ হিসেবে জানান, যে বীভত্স মুখ হয়েছে অনুপমের, তা সে দেখতে পারবে না। পুলিসের দাবি, মনুয়া স্বীকার করেছে, অনুপমের মুখ দেখলে অদূর ভবিষ্যতে এই সম্পর্ক থেকে বেরতে তার অসুবিধা হত।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

দেহ বাংলাদেশেও নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন অনুপমের বাবা। আপত্তি তোলে মনুয়া। পুলিসের দাবি, জেরায় মনুয়া জানিয়েছে, দেহ বাংলাদেশে নিয়ে গেলে তার ধরা পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। এরপরও ছিল বেশ কিছু সামাজিক কারণ। তার প্রতি যাতে কোনও সন্দেহ না আসে, সে জন্যও সতর্ক ছিল সে। যেমন, পুলিসকর্মী লাশ বললে সে বাধা দিয়ে বলে ওটা তার স্বামীর দেহ। আবার বেরনোর ইচ্ছে থাকলেও সমাজের চোখে ধুলো দিতে দিন দশেক বাড়িতেই ছিল সে।


আবার অনুপমের ফোন লোপাটের পরিকল্পনাও ছিল মনুয়ার। কারণ, সম্পর্ক ভাল না থাকার কারণে অনুপমের সঙ্গে প্রায়শই বচসা হত তার। ফোন কলের ভয়েস রেকর্ড অনুপমের মোবাইলে থেকে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। দুজনের খারাপ সম্পর্ক ফাঁস না করতেই খুনের পর অনুপমের ২টি মোবাইলই সরিয়ে দিতে অজিতকে নির্দেশ দেয় মনুয়া। শুধু তাই নয়, অনুপমকে স্বচক্ষে খুন হতে দেখতে চেয়েছিল সে। সে জন্য অজিতকে নিয়ে সে হাজিরও হয়। তবে বারবার বাড়ি থেকে ফোন আসার কারণে ঘটনাস্থল ছাড়তে বাধ্য হয় মনুয়া।


পুলিসের দাবি, মনুয়া বারবার জানাচ্ছে, তার কেরিয়ারে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল অনুপম। সে কারণেই এই খুনের ছক। নিজের কেরিয়ার বাঁচাতে অজিতকে ফাঁসিতেও ঝোলাতেও পিছপা নয় মনুয়া।  পুলিসি জেরায় মনুয়ার দাবি, গোপন জবানবন্দি দিলে যদি সে বেঁচে যায়, তাহলে তাতেও সে রাজি।


আরও পড়ুন, ডেথ সার্টিফিকেট ইস্যু হওয়া রোগী হেঁটে বেড়াচ্ছেন হাসপাতালে!