নিজস্ব প্রতিবেদন:  কোচিংয়ে দেখা, বন্ধুত্ব, তারপর প্রেম। বাত্সল্য প্রেমে মজেছিল দুটি মন। একাদশ শ্রেণির ছাত্রীর সঙ্গে প্রথম বর্ষের ছাত্রের প্রেম মেনে নিতে পারেনি পরিবার। তার পরিণতি হল মর্মান্তিক। রাস্তায় যুবককে ফেলে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল প্রেমিকার মামার বিরুদ্ধে। গুরুতর জখম ওই ছাত্রকে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে। বারাসতের এই ঘটনায় আরও একবার প্রশ্নের মুখে সমাজব্যবস্থা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: কেবল ধর্ষণ করে প্রমাণ লোপাট কিংবা বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্ক নয়, ব্যাঙ্ককর্মী শিল্পা খুনে অন্য কারণ


প্রেমিক-প্রেমিকা দুজনেই বারাসতের সুবর্ণপত্তন এলাকার বাসিন্দা। কাছাকাছি বাড়ি হওয়ার সুবাদে আগে থেকেই একে অপরকে চিনত তারা। কিন্তু বন্ধুত্ব প্রেমের পর্যায়ে পৌঁছয় কোচিংয়ে পড়ার পরই। কিন্তু এই সম্পর্ক মেনে নিতে পারেনি প্রেমিকার পরিবার। বাড়ির মেয়ের থেকে দূরে থাকার জন্য একাধিকবার ওই যুবককে শাসায় কিশোরীর পরিবার। কিন্তু সেকথায় কান দেয়নি দুটি মনই। প্রেমদিবসেও একে অপরের সঙ্গে সময় কাটাতে বেরিয়েছিল তারা। আর তাতেই বিপত্তি।


আরও পড়ুন: আবাসনের স্টোররুম থেকে নিখোঁজ তরুণীর বাক্সবন্দি দেহ উদ্ধার, গ্রেফতার ব্যাঙ্ককর্মী দম্পত


কিশোরীর মামা অজয় সেনের কানে পৌঁছয় সেই কথা। ভাগ্নির প্রেম মেনে নিতে পারেননি তিনি। কিন্তু এমনটা যে করে বসবেন, তা স্বপ্নেও ভাবতে পারেনি কেউ। যুবককে ডেকে ভরা রাস্তায় এলোপাথাড়ি মারলেন অজয়। মুখ দিয়ে রক্ত বেরিয়ে যায় যুবকের। কিন্তু তখনও ক্ষ্যান্ত হননি তিনি। রাস্তায় লুটিয়ে পড়ে যুবক। স্থানীয়রা ততক্ষণে জড়ো হয়ে গেলে, এলাকা ছেড়ে চম্পট দেন অজয়।


বছর উনিশের ওই যুবক এখন আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি। কিশোরীর মামা অজয়ের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে পরিবার। কিন্তু এই ঘটনা আরও একবার প্রশ্নের মুখে ফেলে দিল সমাজব্যবস্থাকে। অভিভাবকরা আরও একটু কি সহিষ্ণু হতে পারতেন না? ভালোবাসার মানুষকে রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে দেখে সে প্রশ্নই কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছে কিশোরীকে।