নিজস্ব প্রতিবেদন: বিশ্বভারতীর পাঁচিল দেওয়ায় কোনও স্থগিতাদেশ দিল না আদালত।  রাজ্যের আবেদনের প্রেক্ষিতে আজ কোনও সাড়াই দিলেন না প্রধান বিচারপতি। জানানো হয়েছে আগামিকাল ফের শুনানি হবে। তারপরই বিশ্বভারতী কাণ্ডে সিদ্ধান্ত নেবে আলাদত।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

অন্য়দিকে বিশ্বভারতীর ঘটনায় হাইকোর্ট নিযুক্ত কমিটি থেকে অব্যাহতি চাইলেন এডভোকেট জেনারেল। আজ আদালতে সরকারি আইনজীবী জানান, "আজ বিক্ষোভ সামলানো গেছে। কাল কি হবে নিশ্চিত নয় পুলিস। বিক্ষুব্ধ জনতার হাত থেকে আইন-শৃঙ্খলা বাঁচাতে সমস্যায় পড়ছে পুলিস।"


এ প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, "প্রয়োজন হলে আমরা গুলির সম্মুখীন হব, কিন্তু বিক্ষুব্ধ জনতা আইনের ওপরে গিয়ে কথা বলবে তা হতে পারে না। যেটা পুলিসের করণীয়, সেটা তাঁরা না করতে পারলে আমরা করব।" 


আরও পড়ুন:  'চাকরি বা সরকারি সাহায্য না পেলে মাওবাদীদের দেখানো রাস্তাতেই হাঁটব!' অস্বস্তি বাড়াচ্ছে জঙ্গলমহল


পাশাপাশি  পৌষমেলা নিয়েও নিজের পর্যবেক্ষণের কথা জানিয়েছেন বিচারপতি। তাঁর পর্যবেক্ষণ, পরিবেশ আদালত পৌষমেলা বন্ধের নির্দেশ দিলেও হাইকোর্টের ক্ষমতা আছে তা পুনর্বিবেচনা করার, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাবনা এবং শান্তিনিকেতন ইতিহাস গুরুত্বপূর্ন। পৌষ মেলার একটা ইতিহাস আছে, বিশ্বভারতী চাইলেই তা বন্ধ করতে পারে না বলেই জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।


উল্লেখ্য, নানা বিতর্কের মাঝেই ফের পাঁচিল তৈরির কাজ শুরু করেছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। সূত্রের খবর, এবার আর পাঁচিল নয়, বরং ফেন্সিং তৈরি করা হচ্ছে। এর আগে বিশ্বভারতীয় ঘটনা নিয়ে মামলা গড়িয়েছিল আদালত পর্যন্ত। আদালতের তরফে তৈরি করা হয় চার সদস্যের একটি কমিটি।


সেই কমিটির সদস্যরা ২৬ সেপ্টেম্বর বিশ্বভারতীতে আসেন সেখানকার ছাত্র, আশ্রমিক, স্থানীয় মানুষ, ব্যবসায়ী সমিতির সঙ্গে কথা বলার জন্য৷ কিন্তু, সেদিনের বৈঠকে সুরাহা মেলেনি। বরং, কমিটির নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে সকলেই।