জলপাইগুড়ির দুইবোনের গণধর্ষণকাণ্ডে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবিতে সরব সিপিএম
পরিবারের সঙ্গে দেখা করে তাঁরা পুলিসি নিরপেক্ষ তদন্তের দাবির পাশাপাশি অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতার করে কড়া শাস্তির দাবি জানিয়েছে। নির্যাতিতার পরিবার উপযুক্ত বিচার না পেলে বিষয়টি নিয়ে আদিবাসী কমিশনের দারস্থ হবেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সিপিএমের জলপাইগুড়ি জেলা সম্পাদক সলিল আচার্য।
নিজস্ব প্রতিবেদন: জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জে আদিবাসী দুই নাবালিকার গণধর্ষনকাণ্ডে এখনও থমথমে এলাকা। অপরাধীদের খোঁজে তল্লাসি চালাচ্ছে পুলিস। বুধবার নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন সিপিএমের জলপাইগুড়ি জেলা সম্পাদক সলিল আচার্য এবং সিপিএমের জলপাইগুড়ির প্রাক্তন সাংসদ মহেন্দ্র কুমার রায়।
পরিবারের সঙ্গে দেখা করে তাঁরা পুলিসি নিরপেক্ষ তদন্তের দাবির পাশাপাশি অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতার করে কড়া শাস্তির দাবি জানিয়েছে। নির্যাতিতার পরিবার উপযুক্ত বিচার না পেলে বিষয়টি নিয়ে আদিবাসী কমিশনের দারস্থ হবেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সিপিএমের জলপাইগুড়ি জেলা সম্পাদক সলিল আচার্য।
আরও পড়ুন: কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে নয়া উদ্যোগ, শিল্পোদ্যোগীদের ১০ কোটি পর্যন্ত ইনসেন্টিভ দেবে রাজ্য সরকার
আজ বুধবার নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন বিজেপি যুব মোর্চার সদস্যরা। বুধবার বিকেলে যুব মোর্চার কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে দেখা করতে যান যুব মোর্চার জলপাইগুড়ি জেলার জেলা সভাপতি পলেন ঘোষ। তিনি অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার আত্মীয়ের বাড়ি থেকে ফেরার পথে গণধর্ষণের শিকার হয় দুই বোন। লোকলজ্জায় আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তাঁদের মধ্যে একজন। কীটনাশক খেয়ে গতকালই মৃত্যু হয়েছে দিদির। অন্যদিকে হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন ছোট বোন। ঘটনায় ইতিমধ্যেই তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। আরও ২ অভিযুক্ত এখনও অধরা। পুলিস সূত্রে খবর, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন নাবালিকা এখন আগের চেয়ে সুস্থ আছে।