নিজস্ব প্রতিবেদন:   পিয়ালিতে রেল লাইনে দুই যুবকের মৃত্যু ঘিরে রহস্য দানা বাঁধছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, রবিবার রাতে দুজন রেল সেতুতে  বসে  গল্প করছিলেন। তাঁদের সঙ্গে আরও একজন  ছিলেন বলে দাবি।  আচমকা ডাউন লাইনে মাঝেরহাট ঘুটিয়ারি শরিফ লোকাল এসে পড়ায় কেউ আর সরে যাওয়ার সুযোগ পাননি।  দিগবিদিক জ্ঞানশূন্য হয়ে লাইন ধরে ছুটতে শুরু করেন তাঁরা।  তবে শেষরক্ষা হয়নি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: রেললাইনে বসে গল্প করার মাসুল, ২ যুবককে পিষে দিল ট্রেন  


ট্রেন দেখে তাড়াতাড়ি দৌড়তে গিয়ে পড়ে যান প্রতীক মণ্ডল নামে এক যুবক।  ঘটনাস্থলেই  মৃত্যু হয় তাঁর। প্রাথমিক চিকিত্সার পর কলকাতার হাসপাতালে রেফার করা হয় আরেক জনকে। চিত্তরঞ্জন থেকে মেডিক্যালে নিয়ে যাওয়ার পথে তাঁরও মৃত্যু হয়।  ঘটনার পর থেকেই খোঁজ নেই তৃতীয়জনের। আর এখানেও বাড়ছে রহস্য। ওই তৃতীয় ব্যক্তি   তিনি পুরুষ না মহিলা, নির্দিষ্ট করে বলতে পারছেন না স্থানীয়রা।


আরও পড়ুন: মোবাইল-প্রেমের গেরো, কিশোরের কপালে জুটল মায়ের থেকেও বয়সে বড় বউ


প্রসঙ্গত,  রবিবার রাতে পিয়ালি স্টেশনে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হয় ২ যুবকের। তাঁদের দেহ উদ্ধার হয়েছে। কিন্তু তাঁদের সঙ্গে আরও এক জন ছিল বলে দাবি প্রত্যক্ষদর্শীদের। সোমবার সকাল পর্যন্তও তাঁর খোঁজ পাওয়া যায়নি। এদিকে, ঘটনার কারণ নিয়েও ধোঁয়াশা বাড়ছে।   প্রত্যক্ষদর্শীদের অনেকের দাবি, যুবকদের  কানে হেডফোন ছিল। তাই ট্রেনের হর্ন শুনতে পাননি তাঁরা। যতক্ষণে ট্রেন খেয়াল করেন, ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। অপরপক্ষের দাবি, দুই যুবককে স্পষ্ট দেখেছেন তাঁরা, তাঁদের সঙ্গে আরও এক জন ছিল। তাঁর খোঁজ মিলছে না।  ধোঁয়াশা কাটাতে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলছে পুলিস। 


দুর্ঘটনায় মৃত প্রতীক মণ্ডল  চম্পাহাটি সুশীল কর কলেজের প্রথম বর্ষের  ছাত্র।   আড্ডা মারতে বেড়িয়ে অকালমৃত্যু।  আর কোনওদিন ফিরবে না বাড়ির ছেলে,  মানতেই পারছেন না পরিজনরা।  দুর্ঘটনায় মৃত আরেকজনের  প্রকাশ মণ্ডল পিয়ালিতে  ঘর ভাড়া  নিয়ে থাকতেন।  দুর্ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর।