নিজস্ব প্রতিবেদন:  “৫ই অগাস্ট লকডাউন করে রাজ্যের মানুষের সেন্টিমেন্টের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করছে সরকার।”  অযোধ্যায় রামমন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের দিন বাংলায় লকডাউন ঘোষণা প্রসঙ্গে রবিবার সকালে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে মন্তব্য করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের।
তিনি বলেন, “সারা ভারতে ধূমধাম করে এই দিনটা পালন হবে। এই রাজ্যের মানুষ তা করতে পারবে না। এটা অমানবিক। মানবতার বিরুদ্ধে লড়াই। চার বার চেঞ্জ করেছেন পাঁচ বার করতে আপত্তি কোথায়?”


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

তিনি বলেন, ৫ অগাস্ট সকাল ১১টা থেকে মন্দিরে মন্দিরে পূজা দেওয়া হবে। সন্ধ্যেবেলা প্রদীপ জ্বালানো হবে।


করোনা মোকাবিলায় রাজ্যের ভূমিকা প্রসঙ্গে

দিলীপ ঘোষ বলেন, “স্থায়ী সমাধানের কোন ব্যবস্থা করা হচ্ছে না। এক্সপেরিমেন্ট করতে করতে হাতের বাইরে চলে যাবে করোনা পরিস্থিতি। দীর্ঘস্থায়ী ব্যবস্থা নিয়ে অন্য রাজ্য ফল পেয়েছে।”


রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “করোনা আটকাতে ব্যর্থ রাজ্য সরকার। করোনা আবহে গত এক মাসের মধ্যে পাঁচজন বিজেপি কর্মী খুন হয়েছেন। মেরে ঝুলিয়ে দেওয়া হচ্ছে। রাজনৈতিক হিংসা সরকারের একটা পলিসি হয়ে গেছে। তাই অধিকার নেই সরকারের ক্ষমতায় থাকার।”

শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেন প্রসঙ্গে
রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করে দিলীপ ঘোষ বলেন, “প্রথমে শ্রমিক স্পেশ্যাল আনা হয়নি রাজ্যে। বন্দেভারত বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বাইরে থেকে মানুষ আসতে পারছেন না। আমরাও দিল্লিতে কাজে বৈঠকে যেতে পারছিনা। দিল্লি থেকে নেতা-মন্ত্রীরা এরাজ্যে আসতে পারছেন না। নাগরিকদের কষ্ট দেওয়া হচ্ছে। দেশ থেকে বাংলাকে বিচ্ছিন্ন করার চক্রান্ত করা হচ্ছে।”

তৃণমূল দলকে কটাক্ষ
দিলীপ ঘোষের আক্রমণ, “বিহারের লোক এসে বাংলা চালাচ্ছে এটা দ্বিচারিতা। পার্টি লিজ দেওয়া হয়ে গেছে এরপর সরকারটাও লিজ দেওয়া হবে।”

রেশন দুর্নীতি প্রসঙ্গে


দিলীপ ঘোষ বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী বিরোধিতা করেছিলেন যাতে আধার কার্ড না হয়। ডিজিটাল রেশন কার্ড যাতে না পাওয়া যায় সেটা চক্রান্ত কারণ তাহলেই রেশন লুট করা যাবে। আধার না দেওয়া হলে রোহিঙ্গাদের এনে ভোট করা যাবে। আর মিডডে মিলের চাল চুরি করা যাবে। দুর্নীতি আর লুট করার সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে পার্টির নেতাকর্মীদের।”