`শ্মশান-কাণ্ডে ক্ষমা চাওয়া উচিত সরকারের`, টুইটের পর ফের তুঙ্গে রাজ্য-রাজ্যপাল তরজা
গড়িয়া শ্মশানে মৃতদেহ সত্কার নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে। শুক্রবার রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় পুর প্রশাসকমণ্ডলী চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিমকে ডেকে পাঠান। ফিরহাদও জানিয়ে দেন তিনি যাবেন না।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ফের রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত চরমে। শ্মশান-কাণ্ডে সরকারের ক্ষমা চাওয়া উচিত বলে মন্তব্য জগদীপ ধনখড়ের। স্বরাষ্ট্রসচিব ও পুর-কমিশনার তাঁকে ব্যাখ্যা দিলেও, রাজ্যপাল বিজেপির হয়ে কাজ করছেন বলে মন্তব্য করেছেন ফিরহাদ হাকিম। অব্যাহত চাপানউতোর।
গড়িয়া শ্মশানে মৃতদেহ সত্কার নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে। শুক্রবার রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় পুর প্রশাসকমণ্ডলী চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিমকে ডেকে পাঠান। ফিরহাদও জানিয়ে দেন তিনি যাবেন না। তবে পুর-কমিশনার বিনোদ কুমার রাজভবনে গিয়ে জানিয়ে আসেন দেহগুলি করোনা আক্রান্তদের নয়। পরে রাজ্যপালও সেকথা জানান। তবে, একইসঙ্গে তিনি টুইটে ফিরহাদ হাকিমের দিকে আঙুল তোলেন।
আরও পড়ুন: গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা আক্রান্ত ৪৫৪, কলকাতায় মৃত ৪
বলেন "মরদেহের সত্কার নিয়ে যে মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে তা পুর কমিশনার তাঁকে জানিয়েছেন। জানিয়েছেন, যাঁরা গাফিলতির জন্য দায়ী তাঁদের ছাড়া হবে না। এ ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয়। সরকারের ক্ষমা চাওয়া উচিত। কেএমসি চেয়ারপার্সন বলেছেন তিনি ফোন করবেন না যা অনুচিত। নিজের দায়বদ্ধতাই তিনি জানেন না। কমিশনারের মাধ্যমে, তাঁকে দেখা করতে বলা হয়েছে।"
রাজভবনে চিঠি দিয়ে স্বরাষ্ট্র দফতর অবশ্য জানায়, বেওয়ারিশ দেহ সত্কারের নিয়মকানুন বদলের কথা ভাবা হচ্ছে। পরে, স্বরাষ্ট্র দফতরের টুইটে বলা হয়, সরকার মরদেহের মর্যাদা রক্ষা করতে জানে। করোনা মহামারির সময় মৃতদেহের সত্কার বা আত্মীয়দের শেষ শ্রদ্ধা জানানোর ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট নীতি নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: নৃশংস! ছিন্নভিন্ন ধর ও মুণ্ড, কুকুরের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার কলেজ স্কোয়ারে
সম্প্রতি, দুর্ঘটনা ও অন্য কারণে মৃত কয়েকজন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির সত্কারের দায়িত্বে থাকা এজেন্সি-র কাজে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে। বিচ্ছিন্ন ঘটনায় মর্গ থেকে আসা এই দেহগুলির সঙ্গে বর্তমান মহামারির সম্পর্ক নেই। বিষয়টি মাননীয় রাজ্যপালকেও জানানো হয়েছে। একটি অবান্তর বিষয়কে করোনা পরিস্থিতির সঙ্গে জুড়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। সমস্ত ব্যাখ্যা দেওয়ার পরও এই চেষ্টা জনমানসে খারাপ প্রভাব, প্রশাসনকে নিরুত্সাহ এবং করোনা যোদ্ধাদের সম্মান হানিই করছে। পরিস্থিতি, অনুযায়ী যথাসম্ভব ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। সরকার সমস্ত অসত্য প্রচারের নিন্দা করছে।
বর্তমান পরিস্থিতিতে ধাপাতেই করোনায় মৃতদের সঙ্গে বেওয়ারিশ দেহের সত্কার হচ্ছে। খোঁজা হচ্ছে নতুন জায়গা। জানিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম। গোটা ঘটনায় চলছে রাজনৈতিক তরজা। তবে সেসবে না গিয়ে সাধারণ মানুষ জানতে চাইছেন এই অমানবিক ঘটনার জন্য যারা দায়ী, তাদের শাস্তি হবে কি?