নিজস্ব প্রতিবেদন: ভুতুড়ে বাড়ি বলে ভুল হতে পারে। করোনা যুদ্ধের সৈনিকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সপরিবারে দিন কাটাচ্ছেন এই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে। পুলিসকর্মীরা মুখে কিছু না বললেও ক্ষোভ আছে। পুলিসকর্মীদের এই নরক যন্ত্রনা নিয়ে শোরগোল পড়ায় নড়েচড়ে বসেছে মালদা জেলা পরিষদ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

হলদে রঙের অস্বিত্ব নেই বললেই চলে। জরাজীর্ণ দেওয়ালে পড়েছে কালচে দাগ। খসে পড়ছে পলেস্তরা। ঘরের অবস্থাও ভয়াবহ। বৃষ্টি হলে ছাদ চুঁইয়ে জল পড়ে। মাঝেমধ্যেই ছাদ থেকে চাঙর খসে পড়ে। ঘর থেকে বাইরে বেরোনোর রাস্তা খুঁজে বের করাই কষ্টকর। নিকাশি না থাকায় চারপাশে জল জমে রয়েছে। ইতিউতি জঙ্গল গজিয়েছে। সেখানে হামেশাই দেখা যায় সাপ, পোকামাকড়।


আরও পড়ুন: রাতের খাবার খেয়ে, স্ত্রীকে খুন করে ডিউটি গেলেন সিভিক ভলান্টিয়ার


এই বাড়িগুলো কোনও পোড়ো বাড়ি নয়। এটা মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিসকর্মীদের আবাসন। এই এলাকার করোনা যুদ্ধের সৈনিকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এখানেই বসবাস করছেন। মুখে কিছু না বললেও চাপা ক্ষোভ দিনদিন বাড়ছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিসকর্মীদের। পুলিস আবাসনের এই অবস্থায়  হতবাক  এলাকার মানুষও। পুলিসকর্মীদের আবাসন নিয়ে শোরগোল পড়ায় নড়েচড়ে বসেছে মালদা জেলা পরিষদ।


আবাসন সংস্কারে হাত না থাকলেও আবাসন চত্ত্বরের নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে পঞ্চায়েত কেন উদ্যোগী হয়নি, প্রশ্ন  তুলছেন ভুক্তভোগীরা। থানার পিছনে পুলিসকর্মীদের আবাসন। সেখানে অফিসারদের জন্য চারটি পৃথক আবাসন রয়েছে। যেখানে পরিবার নিয়ে থাকেন অফিসাররা। এছাড়া রয়েছে চারটি পুলিস ব্যারাক।


কনস্টেবল, অন্য কর্মীদের জন্যও পৃথক ব্যারাক রয়েছে।  সিভিক কর্মীদের জন্য রয়েছে বিশ্রামকক্ষ। থানায় আপাতত ১২ জন অফিসার, ১৩ জন কনস্টেবল, ৮ জন হোমগার্ড ও ছয় জন মহিলা কনস্টেবল রয়েছেন। বেহাল আবাসনের জন্য অনেকেই  বাড়িভাড়া নিয়ে বাইরে থাকেন।