নিজস্ব প্রতিবেদন:   দিল্লিগামী ডাউন ব্রহ্মপুত্র মেইলের এসি ফার্স্ট ক্লাস কামরা থেকে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার মহিলার খোঁজ মিলল। নিলিমা রায় বর্মন নামে ওই মহিলার বয়ান অনুযায়ী, তিনি ট্রেনে শৌচাগারে গিয়েছিলেন। সেখানেই কোনও দুষ্কৃতী তাঁকে ক্লোরোফর্ম দিয়ে অজ্ঞান করে দেয়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 



এরপর যখন তাঁর জ্ঞান ফেরে তিনি নিজেকে শিয়ালদারই একটি পরিত্যক্ত স্থানে পড়ে থাকতে দেখেন। এরপর কোনওভাবে হেঁটে শিয়ালদা স্টেশনে পৌঁছন। সেখানে এক ব্যক্তির কাছ থেকে ফোন নিয়ে স্বামীকে ফোন করেন। ওই ব্যক্তিই মহিলাকে ট্রেনে তুলে দেন। মহিলার স্বামী মালদা জিআরপি-তে খবর দেন। মালদা জিআরপি শিয়ালদা জিআরপি-র সঙ্গে যোগাযোগ করে। এরপর শিয়ালদা জিআরপি  তিস্তা তোর্সা এক্সপ্রেসের টিকিট কেটে  মহিলাকে ট্রেনে তুলে দেয়।  ফরাক্কা স্টেশনে ট্রেন থেকে নামেন তিনি। এরপর স্বামী গিয়ে তাঁকে নিয়ে আসেন।  তাঁর দাবি, তিনি সাত-আট ভরি সোনার গয়না পড়েছিলেন। কিন্তু যখন তাঁর জ্ঞান ফেরে শরীরে একটি গয়নাও ছিল না তাঁর।  মহিলার বয়ান খতিয়ে দেখছে পুলিস।  এর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ট্রেন থেকে কীভাবে একজন মহিলাকে এইভাবে অপহরণ করা সম্ভব, মহিলা আদৌ সত্যি কথা বলছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।


প্রসঙ্গত,  মঙ্গলবার দিল্লিগামী ডাউন ব্রহ্মপুত্র মেইলের এসি ফার্স্ট ক্লাস কামরা থেকে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে যান নিলিমা রায় বর্মন। তাঁর স্বামী অভিযোগ করেন, স্ত্রীর গায়ে ছিল প্রচুর সোনার গয়না। তা ছিনতাই করতে স্ত্রী নিলীমা রায়বর্মনকে অপহরণ করেছে দুষ্কৃতীরা। মালদা টাউন স্টেশনে দায়ের করা হয়। 


মাত্র ৩০ টাকার সবজি কিনতে বলেছিলেন স্ত্রী, মাঝ রাস্তায় তিন তালাক দিলেন স্বামী