নিজস্ব প্রতিবেদন: মাসিক বেতন দিতে না পারায় পরীক্ষার্থীকে অনলাইন পরীক্ষায় বসতে দিল না স্কুল কর্তৃপক্ষ। ঘটনাটি ঘটেছে  দুর্গাপুরের সিবিএসসি বোর্ডের মান্যতা প্রাপ্ত 'বিচহুড স্কুল'-এ। স্কুলের ফি বেড়েছে, লকডাউনে তা দিতে না পারায় পরীক্ষাতেই বসতে পারল না একাদশ শ্রেণির ২৩ জন ছাত্রছাত্রী। অভিভাবকদের অভিযোগ, নিয়মিত অনলাইন ক্লাস নেওয়ার পর, পরীক্ষার দিন সকালে হঠাৎই কোন আগাম বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই পরীক্ষা থেকে বাদ দেওয়া হল এই ছাত্র-ছাত্রীদের নাম।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আজ সকালে ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায় দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারে অবস্থিত ওই বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের সামনে। ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অভিভাবকরা। তাঁদের আরও অভিযোগ, স্কুল কর্তৃপক্ষর সঙ্গে কথা বলতে চাইলেও স্কুল কর্তৃপক্ষ অভিভাবকদের সঙ্গে বিষয়টিকে নিয়ে কোন কথা বলতে চায়নি। 


আরও পড়ুন:  বাংলায় ফ্রি-তে রেশন, চিকিৎসা থেকে কৃষি-তথ্য দিয়ে নাড্ডাকে পাল্টা TMC-র


অভিযোগকারীরা বলছেন, কয়েক মাস আগে স্কুলে ভর্তি বাবদ নগদ ২৫,০০০ টাকা নিয়েছে। মমতাজ বেগম বলেন পারিবারিক সমস্যার কারণে স্কুলে এসে মাসিক ফিজ জমা দিতে পারিনি। স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু কোনও অজ্ঞাত কারণে তাঁরা দেখা করল না। অপরদিকে আরও এক অভিভাবক জানাচ্ছেন, স্বামী সিআরপিএফ কর্মী, মাস ছয়েক আগে কর্মসূত্রে দূর্গাপুরে এমন অবস্থায় ছেলেকে নতুন স্কুলে ভর্তি করিয়ে বিপাকে পড়েছেন। স্কুলের জন্য বর্ধিত টাকা জমা দিতে পারেননি শুধুমাত্র স্কুলে আসার অসুবিধার কারণে। 


স্কুল কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে মুখ খুলতে চায় নি। পশ্চিম বর্ধমান জেলার জেলা শাসক পূর্ণেন্দু মাজি ফোনে জানান, এ বিষয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষকে চিন্তা ভাবনা করা উচিৎ। এইভাবে ছাত্র ছাত্রীদের অবহেলা করা উচিৎ হয়নি।