প্রসেনজিৎ মালাকার: চেয়ারম্যান ও কাউন্সিলরের পদ ছাড়ার পর এবার প্রাক্তন চেয়ারম্যান ও কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন সদ্য প্রাক্তন সিউড়ি পৌরসভার চেয়ারম্যান। এছাড়াও বিধায়কের বিরুদ্ধেও একাধিক অভিযোগ তুলে করলেন কটাক্ষ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রসঙ্গত এর আগেও দুবরাজপুরের ব্লক সভাপতি ভোলা মিত্র, জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ কেরিম খান সহ একাধিক অনুব্রত ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতাকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে দলীয় ও জনপ্রতিনিধির পদ থেকে। একাধিক প্রশ্নের মুখে বেশিরভাগই বলেছিলেন অনুব্রত মন্ডলের অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে বর্তমান তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব নিজের ঘনিষ্ঠদের বিভিন্ন পদের স্থান করে দিচ্ছেন। এক কথায় এই নতুন অভিযোগের ফলে কার্যত সেই পুরনো অভিযোগেই সীলমোহর পড়ল। যদিও  এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন স্বয়ং বিধায়ক।


আরও পড়ুন: Malbazar: একটি ছাগল সাবাড় করে ঘুরে বেড়াচ্ছিল, উদ্ধার হল ২০ ফুট লম্বা অজগর...


‘আমাকে গত তিন বছর আগে কেষ্ট মন্ডল চেয়ার পারসন এর পদে বসিয়েছিল। প্রাক্তন চেয়ারম্যান উজ্জ্বল চ্যাটার্জী বিভিন্ন দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত ছিল যা মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানতেন। এমনকি ববিদাকে এই দুর্নীতির তদন্তের নির্দেশও দিয়েছিলেন। জলের টাকা এসেছিল, আই এইচ এসডিপির টাকা এসেছিল, গ্রীন সিটির টাকা এসেছিল। তখন তাকে সরিয়ে আমাকে বসানো হয়। কিন্তু আমি তিন বছর সততার সঙ্গে কাজ করার পরেও উজ্জ্বল চ্যাটার্জি  কিছু কাউন্সিলরকে বিভিন্নভাবে লোভ দেখিয়ে তাদের আমার বিরুদ্ধে নিয়ে যায় এবং দলকে একটা লিখিত অভিযোগ দেয় ওই কাউন্সিলররা। তখন দলের এমএলএ এমপি আমাদের সবাইকে নিয়ে বসে। কিন্তু আমার বিরুদ্ধে কোনও এলিগেশন পায়নি’। এমনটাই দাবি করেছেন বিদায়ী চেয়ারম্যান।


এরপরে বিধায়কের বিরুদ্ধেও তিনি বিস্ফোরক মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘এর জন্য আমি মনে করি অনুব্রত মন্ডল যখন বীরভূমে ছিল তখন আমাদের এমএলএ সাহেব তখন যেভাবে সহযোগিতা করেছিল, আমি চেয়ারম্যান হবার পর থেকে টোটালি সহযোগিতা বন্ধ করে দিয়েছেন। উনি আমাদের পৌরসভাকে একটা সামান্য টাকার অ্যাম্বুলেন্স দিয়েছেন। আর একবার দিয়েছেন ১০ লাখ টাকা লাইটের জন্য। বাকি কোনও রকম সহযোগিতা করেননি। যেমন আমাদের সঙ্গে আলোচনা করা আমাদের পরামর্শ দেওয়া’।


আরও পড়ুন: WB Weather Update: গভীর নিম্নচাপের জেরে দক্ষিণবঙ্গে দিনভর বৃষ্টির আশঙ্কা, জেনে নিন দুর্যোগ কাটবে কবে


তিনি আরও বলেন, ‘এমনকি প্রতিটি বোর্ড মিটিং-এর আগে আমাদের সঙ্গে বসার কথা ছিল সেটাও তিনি বসেননি। আমরা নিজেরাই বোর্ড মিটিং করেছি’। 


বিকাশ রায় চৌধুরী ফোনে জানায় যে, ‘তোমাকে দল চেয়ারম্যানের পদটা ছাড়তে বলেছে’। যদিও এই সিদ্ধান্ত কেন অথবা কী কারণ তার কোন উত্তর তিনি দেননি বলেই জানিয়েছেন প্রাক্তন চেয়ারম্যান।


এছাড়াও তিনি বিধায়ককে কটাক্ষ করে বলেন উনি যদি নিজেকে কেষ্ট মন্ডল ভাবছেন তাহলে উনি মূর্খের স্বর্গে বাস করছেন।"


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)