অনুপ দাস: কৃষ্ণনগরকাণ্ডে মৃত্যুতে এবার চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে পেল কোতোয়ালি থানার পুলিস। ধৃত প্রেমিক রাহুল বোসকে পুলিস হেফাজতে থাকাকালীন জেরা করে প্রথম পক্ষের স্ত্রীর হদিশ পায় পুলিস। মৃত ছাত্রীর সঙ্গে সম্পর্কের আগেই রাহুল ছিল বিবাহিত, এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসে। পরবর্তীতে রাহুল সেকথা সংবাদ মাধ্যমের সামনে স্বীকারও করে। রাহুলের প্রথম পক্ষের স্ত্রীর বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার সোনারপুর এলাকায়। খোঁজ পাওয়ার পরই তাঁকে কোতোয়ালি থানায় ডেকে নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় পুলিসের তরফে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সূত্রের খবর, ১৫ তারিখে রাহুলের বন্ধু সৌরভের সঙ্গে একাধিকবার ফোনে কথা হয় ওই তরুণীর। ছাত্রীর মৃত্যু নিয়েও দু’জনের মধ্যে কথাবার্তা হয়। সেই কথোপকথনের অডিয়ো হাতে পেয়েছে পুলিস। এবার তাতেই মৃত্যুর রহস্য আরও দানা বাঁধছে। পুলিস সূত্রে খবর, ১৫ তারিখ দুপুর ১২ থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত সৌরভকে ২১ বার ফোন করে ওই ছাত্রী। প্রতিবার সে রাহুলের সঙ্গে দেখা করানোর জন্য জোর করে। রাহুলকে ওই ছাত্রী ফোন করলেও সে ফোন ধরেনি, বিরক্ত হয়ে ফোন সুইচ অফ করে রাখে রাহুল। 


আরও পড়ুন:Barrackpore: হাড়হিম! মেয়েকে মেরে পাশে দাঁড়িয়ে মা, বিছানায় পড়ে দেহ...


তদন্তে পুলিস জানতে পেরেছে ১৫ তারিখ দুপুর দুটোর সময় ওই ছাত্রী রাহুলের বন্ধু সৌরভকে ফোন করে জানায় সে আত্মহত্যা করবে বলে কেরোসিন ও দেশলাই কিনেছে। বিকাল চারটের সময় সৌরভ সেই কথা রাহুলের প্রথম স্ত্রীকে জানায়। তা নিয়ে নিজেদের মধ্যে হাসাহাসিও করে তারা। পুলিস সূত্রে খবর, মৃত ছাত্রীর কাকার দোকান আছে সেখানে কেরোসিন বিক্রি হয়, এছাড়াও তার বাড়িতেও কেরোসিন ব্যবহার হয়। সম্ভবত সেখান থেকেই কেরোসিন সঙ্গে করে নিয়ে গিয়েছিল সে। তার কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া ভ্যানিটি ব্যাগ ও ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া কেরোসিনের বোতল পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে বোতলটি অনায়াসে ব্যাগে ঢুকে যায়। তা থেকে পুলিসের অনুমান ওই ব্যাগে করেই ছাত্রী হয়তো কেরোসিনের বোতল নিয়ে গিয়েছিল। এছাড়া ব্যাগ থেকেও কেরোসিনের গন্ধ মিলেছে বলে পুলিস সূত্রে খবর। 


পুলিস সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ঘটনার দিন অর্থাৎ ১৫ তারিখে রাহুল মৃত ছাত্রীকে না জানিয়ে অন্য এক তরুণীর সঙ্গে রানাঘাটে সিনেমা দেখতে গিয়েছিল। কিন্তু সেটি কোনওভাবে মৃত ছাত্রী জেনে যায়। রাত ১০টা ১২ মিনিট নাগাদ রাহুল তার এক বন্ধুর ফোন দিয়ে মৃত ছাত্রীর সঙ্গে শেষবার কথা বলেছিল। কারণ, রাহুলের ফোন সেই সময় সুইচ অফ ছিল। তারপর রাত পৌনে এগারোটা নাগাদ মৃত ছাত্রী সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে জানায়, ‘আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়।’ এমনকী অডিয়ো বার্তাও দেয়। পরের দিন সকালে ওই ছাত্রীর অগ্নিদগ্ধ মৃতদেহ উদ্ধার হয়। সেদিনই রাহুলকে গ্রেফতার করে পুলিস। সাতদিনের পুলিস হেফাজত শেষে ধৃতকে বৃহস্পতিবার কৃষ্ণনগর জেলা আদালতে তোলা হলে বিচারক পুণরায় পাঁচ দিনের পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।


 



(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)