জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: পুরীতে নীলাচলে অক্ষয় তৃতীয়া থেকেই শুরু হয় জগন্নাথদেবের রথ তৈরির কাজ। আর শ্রীরামপুরের মাহেশে সূচনা হয় চন্দনযাত্রা উৎসব। আগামী ৪২ দিন ধরে সেখানে চলবে জগন্নাথদেবের মাথায় চন্দন লেপন। তারপর হবে স্নানযাত্রা উৎসব। বলা যায়, এই চন্দনযাত্রা দিয়েই আজ থেকে মাহেশে রথযাত্রার সূচনা হয়ে গেল। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: Bengal Weather Update: রবিবার থেকেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়বৃষ্টির শুরু! সপ্তাহশেষে কি ফের তাপপ্রবাহ?


চন্দনযাত্রায় মাহেশের জগন্নাথ মন্দিরে সকাল থেকেই ভক্তদের ভিড় লেগে থাকে। মন্দিরের গর্ভগৃহের দ্বার খোলার পর শুরু হয় চন্দনযাত্রা উৎসব। মাহেশ জগন্নাথ মন্দিরের সেবাইত জগন্নাথ মন্দির সেবা ট্রাস্টের সম্পাদক পিয়াল অধিকারী জানান, অক্ষয় তৃতীয়া অত্যন্ত শুভ একটি দিন। বিষ্ণুর ষষ্ঠ অবতার পরশুরামের আবির্ভাব দিবস। অক্ষয় তৃতীয়াতেই জগন্নাথের চন্দনযাত্রা উৎসব হয়। ৬২৭ বছর ধরে দারু কাঠের জগন্নাথ মূর্তি একই রকম রয়েছে। কোনো ক্ষয় নেই। এটাই মাহেশ জগন্নাথের মাহাত্ম্য। 


আরও পড়ুন: Joyrambati Matri Mandir: মাতৃমন্দিরের শতবর্ষ! মায়ের 'দ্বারী-ভারী' শরৎ মহারাজের অতুল কীর্তি...


বিয়াল্লিশ দিন পর মাহেশ স্নানপিঁড়ির মাঠে অনুষ্ঠিত হবে স্নানযাত্রা উৎসব। ঘড়া ঘড়া গঙ্গাজল আর দেড় মন দুধ দিয়ে স্নান করানো হবে জগন্নাথ দেবের বিগ্রহকে। রীতি অনুযায়ী, স্নান করে কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসে জগন্নাথ দেবের। তখন কম্বল মুড়ি দিয়ে শুয়ে থাকেন তিনি। তাই  দুসপ্তাহ মন্দিরের দরজা বন্ধ থাকে। এ সময়ে তিনি ভক্তদের দেখা দেন না। 


কবিরাজের পাচন খেয়ে জ্বর সারলে মন্দিরের দরজা খোলা হয়। তখন আরোগ্য়লাভ করে মাসির বাড়ি যাওয়ার পরিকল্পনা করেন জগন্নাথদেব। বলরাম ও শুভদ্রাকে নিয়ে রথে চেপে মাসির বাড়ি যান জগন্নাথ। 


যুগ যুগ ধরে সেই রীতি মেনে রথযাত্রা উৎসব হয়ে আসছে মাহেশে। এবছরও হবে। তবে তার আগে রথযাত্রার ঢাকে কাঠি পড়ে গেল। এ বছর রথযাত্রা ২০ জুন।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)