নিজস্ব প্রতিবেদন : দিনের পর দিন মদ্যপান করে এসে অত্যাচার চালাত নিজের মায়ের উপর। অবশেষে মায়ের বার্ধক্য ভাতার টাকা কেড়ে নিয়েও শেষ রক্ষা হল না। মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি এসে মাকে খুন করল ছেলে। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি লোধাশুলি এলাকার বালিয়া গ্রামে। পুলিস জানিয়েছে মৃত মহিলার নাম সুরুবালি মাহাতো, বয়স ৭০। এই ঘটনার পর পুলিস অভিযুক্ত সন্তোষ মাহাতকে গ্রেফতার করেছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন -  পরকীয়ায় পথের কাঁটা সন্তান! শিশুপুত্রকে খুন মায়ের


পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত সন্তোষ মাহাতোর একাধিক বিবাহ রয়েছে। বর্তামান স্ত্রী এবং তার ছেলেদের বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে। এমকি তার দিদি ছবি মাহাতোকে অত্যাচার করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে। পুলিস আরও জানিয়েছে সন্তোষ মাহাতো নিয়মিত মদ্যপান করত। নিত্যদিন মদ্যপান করে বাড়িতে ফিরে মাকে টাকার জন্য বেধড়ক মারধরও করত। প্রতিবেশীরা জানায় মদ্যপ সন্তোষের অত্যাচারে গ্রামবাসীরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল। বালিয়া গ্রামের বাসিন্দা নমিতা মাহাতো, জয়ন্তী মাহাতোরা জানান, "সন্তোষ অত্যাচার করে তার বউ এবং ছেলেদের ঘর ছাড়া করেছে। ওর আগেও কয়েকটা বিয়ে আছে। একটা দিদি আছে তাকেও মদের নেশায় মারধর করে ঘর ছাড়া করেছে। প্রত্যেক দিন বৃদ্ধা মাকে মদ খেয়ে বাড়ি ফিরে মারধর করত। বার্ধক্য ভাতার টাকা নেওয়ার জন্য কালকেও জোর করছিল ওর মাকে। প্রতিদিন মাকে মারতো। শনিবার রাতেও লাঠি দিয়ে মাকে মেরে খুন করে। ওর অত্যাচারে গ্রামবসাসীরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।"


আরও পড়ুন - বিয়ের আড়াই বছরেও নিঃসন্তান! স্বামীর হাতে স্ত্রীর মর্মান্তিক পরিণতি


পুলিস ও গ্রামবাসীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে সন্তোষ মাহাতো তার মা সুরুবালিকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করে। ব্যাপক মারের ফলে ওই বৃদ্ধা মারা যায়।  রবিবার ভোর বেলায় মায়ের মৃতদেহ ঘরের বাইরে বারান্দায় রেখে গ্রামবাসীদের জানায় তার মা শীতে মারা গিয়েছেন। গ্রামবাসীদের বক্তব্য রাতে মাকে খুন করেছে ছেলে। তা চাপা দেওয়ার জন্য শীতে মারা যাওয়ার কথা প্রচার করে সে। এরপর অভিযুক্ত সন্তোষ গা ঢাকা দেয়। গ্রামবাসীরা স্থানীয় সিভিক ভলেন্টিয়ারদের পুরো বিষটি জানায়।পুলিসে খবর গেলে পুলিস ঘটনা স্থল থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে ঝাড়গ্রাম জেলা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। পুলিস অভিযুক্ত সন্তোষকে রবিবার ডালকাটি গ্রাম থেকে গ্রেফতার করে।