Katwa: রক্তশূন্য ব্লাড ব্যাঙ্ক, সাড়ে তিন বছরের থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত শিশুকে রক্ত দিলেন সুপার
টানা তিন বছর এভাবেই দুধের শিশুকে কোলে নিয়ে মাসে নিয়ম করে কাটোয়া হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কে আসেন টুম্পা পণ্ডিত। কিন্তু বৃহস্পতিবার থেকে ব্লাড ব্যাঙ্কে ছিল রক্তের অভাব
নিজস্ব প্রতিবেদন: রক্তশূন্য কাটোয়া হাসপাতালে ব্লাড ব্যাঙ্ক। দীর্ঘদিন ধরে থ্যালাসেমিয়া পেশেন্টরা রক্তের জন্য হন্য হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। দুদিন আগে জানা যায় যে কাটোয়া হাসপাতালে ব্লাড ব্যাঙ্ক নিয়ে রক্তের কালোবাজারি করছে এক শ্রেণীর দালাল চক্র।
থ্যালাসেমিয়া পেশেন্টদেরকে যাতে রক্তের জন্য না ঘুরতে হয় তার জন্য তনুন ব্যবস্থা করল হাসপাতাল। যতদিন না ব্লাড ব্যাঙ্কে রক্তের মজুত হবে ততদিন কাটোয়া হাসপাতালের ডাক্তাররা থ্যালাসেমিয়া রোগীদের রক্ত দেবে। শনিবার প্রথমে কাটোয়া হাসপাতালের সুপার সৌভিক আলম সাড়ে তিন বছরের থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত শিশুকে রক্ত দেন।
একরত্তি মেয়ে থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত। প্রতি মাসে নিয়ম করে রক্ত দিতে হয়। টানা তিন বছর এভাবেই দুধের শিশুকে কোলে নিয়ে মাসে নিয়ম করে কাটোয়া হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কে আসেন টুম্পা পণ্ডিত। কিন্তু বৃহস্পতিবার থেকে ব্লাড ব্যাঙ্কে ছিল রক্তের অভাব। মেয়েকে বাঁচাতে রক্ত কোথায় পাবে সেই চিন্তায় মাথায় হাত পরে টুম্পার। রক্তদাতা জোগাড় করতে পারেননি তিনি। কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কে দুদিন চক্কর দিয়েও রক্ত মেলেনি।
হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কের কর্মীরা টুম্পা পণ্ডিতকে শনিবার আসতে বলেন। ঘটনা শুনে অবশেষে হাসপাতালের সুপার রক্ত দিতে এগিয়ে এলেন। সুপাররের রক্তের গ্রুপ বি-পজিটিভ। সাড়ে তিন বছরের বর্ষা পণ্ডিতের জন্য রক্ত দিলেন সেখ শৌভিক আলম। রক্ত দিয়ে বললেন,থ্যালাসেমিয়া শিশুর জন্য তিনি রক্ত দিলেন এবং সমাজের সকল স্তরের মানুষকে মেসেজ দিতে চাইলেন, রক্ত দানে এগিয়ে আসার জন্য।
আরও পড়ুন: Jhargram: দিনেদুপুরে বাইক আরোহী যুবককে গুলি, মাওবাদী আতঙ্ক ছড়াল ঝাড়গ্রামে
কাটোয়া ব্লাড ব্যাঙ্কের আধিকারিক ডাঃ বাণীব্রত আচার্য বলেন, থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত এক শিশুকে রক্ত দিলেন হাসপাতালের সুপার। মঙ্গলবার চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীরা রক্তদান শিবির করবেন বলে জানিয়েছেন তারা। আগামীকাল থেকে সমস্যা মিটে যাবে বলে আশা করেন তিনি।