Jhargram: দিনেদুপুরে বাইক আরোহী যুবককে গুলি, মাওবাদী আতঙ্ক ছড়াল ঝাড়গ্রামে
সম্প্রতি গোয়েন্দারের তরফে খবর ছিল মাওবাদীরা তাদের অপারেশনের জন্য বাইক ছিনতাই করতে পারে
নিজস্ব প্রতিবেদন: জাতীয় সড়কে দিনেদুপুরে চলল গুলি। এক বাইক আরোহীকে ঘায়েল করে তার বাইক ও মোবাইল ফোন নিয়ে চম্পট দিল দুষ্কৃতীরা। শনিবার এই ঘটনা ঘটেছে ৬ নম্বর জাতীয় সড়কের উপরে ঝাড়গ্রামের চন্দ্রী এলাকায়।
এদিন প্রকাশ্য রাস্তায় ২ জন বাইক আরোহী এসে সুদীপ মহাপাত্র নামে এক যুবককে খুব কাছ থেকে গুলি করে তার বাইক ও মোবাইল নিয়ে পালিয়ে যায়। হামলাকারীদের মুখ গামছায় ঢাকা ছিল বলে জানা যাচ্ছে। গুরুতর আহত অবস্থায় সুদীপকে নিকটবর্তী মোহনপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। জানা যাচ্ছে এক রেশন দোকানে কাজ করেন সুদীপ। চন্দ্রী থেকে তিনি আসছিলেন ঝাড়গ্রামের দিকে।
এদিকে, ওই গুলিচালনার ঘটনায় আতঙ্ক ছড়াল এলাকায়। এর কারণও রয়েছে। এমনিতেই কয়েকদিন ধরে জঙ্গলমহলের বিভিন্ন এলাকায় মাওবাদী পোস্টার পাওয়া যাচ্ছিল। কোথাও তৃণমূল নেতাদের হুঁশিয়ারি দেওয়া হচ্ছিল। আজই ঝড়গ্রামের মানিকপাড়ায় এলাকায় একটি মাওবাদী পোস্টার পাওয়া গিয়েছে। ফলে এবার গুলির খবর আসায় আতঙ্ক ছড়াল সাধারণ মানুষের মধ্য়ে।
পুলিস সূত্রে খবর, সম্প্রতি গোয়েন্দারের তরফে খবর ছিল মাওবাদীরা তাদের অপারেশনের জন্য বাইক ছিনতাই করতে পারে। সেই বাইক ব্যবহার করা হতে পারে নাশকতার কাজে। ওই গোয়েন্দা রিপোর্টের উপরে ভিত্তি করেই এলাকার তৃণমূল নেতাদের ফোন করে সতর্ক করে পুলিস। পাশাপাশি তাদের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিস কর্মীদের ছুটি বাতিল করে কাজে ফিরিয়ে আনা হয়।
জাতীয় সড়কে গুলি চালনার ঘটনায় মাওবাদী যোগ থাকতে পারে বলে প্রাথমিক অনুমান করা হচ্ছে। কারণ চুরির ঘটনা হলে বাইক নিয়ে পালানোর সম্ভাবনা বেশ কম। দুই বাইক আরোহী এসে ওই যুবককে পেছন থেকে গুলি করে। পরে তার বাইক ও ফোন নিয়ে পালায়। এভাবে সাধারণত চুরির ঘটনা ঘটে না। একজন রেশন দোকানের কর্মীকে কেন গুলি করবে দুষ্কৃতীরা? তাহলে কি বাইক ছিনতাই-ই একমাত্র উদ্দেশ্যে ছিল? এমনটাই অভিমত পুলিসের একাংশের। ঘটনাস্থল থেকে ৩ কিলোমিটার দূরে ঝড়খণ্ড সীমান্ত। প্রশাসন মুখে কিছু না বললেও ওই ঘটনার পেছনে মাওবাদীদের কোনও ভূমিকা রয়েছে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে। তবে এনিয়ে এখই কিছু বলতে নারাজ পুলিস।
আরও পড়ুন-দিল্লি চতুর্থ ঢেউয়ের ধাক্কা? একদিনে হাজার পেরলো সংক্রমণ, বাড়ছে পজিটিভিটি রেট