Paschim Medinipur: তৃণমূলের নেতা ফিরিয়ে দিলেন আবাস যোজনার টাকা! লুকিয়ে রাজনৈতিক জল্পনা?
Paschim Medinipur: বর্তমান সময়ে আবাস যোজনা নিয়ে ভুরি ভুরি দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায়। অভিযোগ রয়েছে পাকা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও আবার দ্বিতীয়বার নতুন করে আবাস যোজনার বাড়ি নিতে দেখা গেছে। সেই আবহে সম্পূর্ণ ভিন্ন চিত্র দেখা গেল পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া ১নং ব্লকে।
কিরণ মান্না: পাঁশকুড়ার নস্করদিঘীর বাসিন্দা শক্তিপদ মান্না পেশায় কৃষক হলেও রাজনীতির ময়দানে তিনি তৃণমূলের বুথ সভাপতি। দীর্ঘ জীবন রাজনীতিতে থেকে শাসকদল তৃণমূলের ঝান্ডা কাঁধে নিয়ে ঘুরে বেড়িয়েছেন। ২০১৬ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোটে দাঁড়িয়ে তৃণমূলের টিকিটে জয় লাভ করে অনাস্থা ভোটে ২বছরের জন্য উপপ্রধানের পদে বসেন শক্তিপদ। এমনকি তাঁর স্ত্রী তিলকা মান্না পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের হয়ে ভোটে দাঁড়ালে মাত্র কয়েকটা ভোটে পরাজিত হয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: Bishnupur: সন্দেহ, মারধর! অপমানে গৃহশিক্ষকের ভয়ংকর পরিণতি...
বর্তমান সময়ে আবাস যোজনা নিয়ে ভুরি ভুরি দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায়। অভিযোগ রয়েছে পাকা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও আবার দ্বিতীয়বার নতুন করে আবাস যোজনার বাড়ি নিতে দেখা গেছে। সেই আবহে সম্পূর্ণ ভিন্ন চিত্র দেখা গেল পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া ১নং ব্লকে। পাঁশকুড়ার নস্করদিঘী গ্রামে তৃণমূলের বুথ সভাপতি সপরিবারে মাটির বাড়িতে বসবাস করেও আবাস যোজনার বাড়ি ফিরিয়ে দিলেন প্রশাসনকে।
এজবেস্টার দেওয়া মাটির বাড়িতেই পরিবার নিয়ে বসবাস করেন তিনি। ঝড়ের সময় বাড়ির দেওয়ালের ফাটল ধরে এবং বাড়ির চালা ভেঙ্গে জল পড়ে। ২০১৩সালে একটা পাকা বাড়ির পাওয়ার জন্য আবাস যোজনার তালিকায় তিনি নিজের নাম নথিভুক্ত করেছিলেন, সার্ভে হওয়ার পর তাঁর আবেদন মঞ্জুর হলে নতুন করে ২০২৪ সালে আবাস যোজনা লিস্টে শক্তিবাবুর নাম আসে।
আরও পড়ুন: Bardhaman: মিষ্টির সঙ্গে মেশানো ঝালের হালকা স্বাদে রসিকচিত্ত জয় কাঁচালঙ্কা রসগোল্লার...
এমনকি কিছুদিনের মধ্যেই বাড়ি করার জন্য আবাস যোজনার টাকা তিনি পেতেন, কিন্তু হঠাৎ করেই তিনি আবাস যোজনার বাড়ি পেয়েও আবাসের বাড়ি নেবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন প্রশাসনকে এবং বাড়ি না নেওয়ার কথা লিখিতভাবে বিডিও অফিসে জমা দেন তিনি। তাঁর মতে তার দুই ছেলে নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে উপার্জন করতে শিখেছে, তবে ছেলেদের মধ্যে কেউই সরকারী চাকুরীজীবী নন। ছেলেদের উপার্জনের টাকায় ইতিমধ্যেই বাড়ি তুলেছেন। যার ফলে আবাস যোজনার বাড়ি করার জন্য সরকার থেকে যে টাকা তিনি পেতেন তা তিনি নেননি। তাঁর এমন কাজে সাধুবাদ জানিয়েছেন ব্লক প্রশাসন ও শাসকদলের নেতৃত্বরা।