ওয়েব ডেস্ক: CID-র তত্পরতায় ঘরে ফিরলেন সৌদি আরবে কর্মরত যুবক।  মঙ্গলকোটের বাসিন্দা আসরাফুল হক এজেন্সি মারফত পৌছে গিয়েছিলেন সৌদি আরবে। সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ার বুঝতেও পারেননি চাকরি দেওয়ার নামে তাঁকে পাচার করে দেওয়া হয়েছে। দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর অবশেষে আজ বাড়ি ফিরেছেন আসরাফুল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মঙ্গলকোটের বাসিন্দা তথ্যপ্রযুক্তিতে স্নাতক যুবক আসরাফুল হক। চাকরি খুঁজতে খুঁজতে গিয়ে পৌছলেন মুম্বইয়ের এক জব এজেন্সির খপ্পরে। সাবস্ক্রিপশন মানির বদলে ওই এজেন্সি তাকে সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে চাকরি পাইয়ে দেয় সৌদি আরবের একটি কোম্পানিতে। অফার লেটার পাওয়ামাত্রই ভিসা নিয়ে সৌদি আরব পাড়ি দিলেন মঙ্গলকোটের যুবক।


কার্যত সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ারের চাকরির নাম করে পাচার করে দেওয়া হয় তাঁকে। রীতিমত ক্রীতদাসের মতই ব্যবহার জুটল আসরফুলের। বাইরে মুখ খুললে খুনের হুমকি। বারবার তিনি ও তাঁর বাবা বিদেশমন্ত্রক ও দূতাবাসে যোগাযোগ করেন। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। সৌদি থেকে বসেই বর্ধমানের পুলিস সুপারকে মেল করেন আসরাফুল। সেই মেলের কপি পাঠানো হয় সিআইডিকে।


এরপরেই সৌদি আরবের পুলিসের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করে সিআইডি। মেল ও টুইটারে বারবার যোগাযোগ করা হয় । তবে  আসরাফুলকে ফেরানোর কোনও ব্যবস্থা নেই। ওই এজেন্সির কাছে তাঁর পাসপোর্ট তখনও আটকে । এরপরেই তত্পরতা শুরু হয় সৌদি পুলিসের তরফে। পাসপোর্ট উদ্ধার করে আসরাফুলকে ফেরানোর ব্যবস্থা করা হয়। সোমবার বাড়ি ফিরেছে আসরাফুল।


জানা যাচ্ছে ২০১৬-র মাঝামাঝি মুর্শিদাবাদের কান্দির এক দালাল মারফত্  মুম্বইয়ের জব এজেন্সিতে যায় আসরাফুল। পাচারে বড় চক্র কাজ করছে বলেই মনে করছে সিআইডি। খতিয়ে দেখা হচ্ছে মুম্বইয়ের ওই এজেন্সি ও কান্দির যুবকের ভূমিকাও।