`ঘটনায় রাজনীতির কোনও যোগ নেই` জিয়াগঞ্জ হত্যাকাণ্ডের ৪ দিন পর `বিস্ফোরক` পুলিস সুপার
এদি ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে পুলিস সুপার বলেন ` ঘটনায় ইতিমধ্য়েই তদন্ত শুরু করেছে তদন্তকারীদের বিশেষ দল। পরিবারের সদস্য-সহ স্থানীয়দেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।`
নিজস্ব প্রতিবেদন: চারদিন কেটে গেলেও জিয়াগঞ্জ হত্যাকাণ্ডের কোনও কিনাড়া করতে পারেনি পুলিস। তবে ইতিমধ্যেই মিলেছে কিছু তথ্য। সেই সূত্র ধরেই ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছেন তাঁরা। বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে অবশেষে ঘটনায় মুখ খুললেন পুলিস সুপার মুকেশ। এদিন তিনি বলেন " এটি একটি পারিবারিক ঘটনা, এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগাযোগ নেই। ইতিমধ্য়েই তদন্ত শুরু করেছে তদন্তকারীদের বিশেষ দল। পরিবারের সদস্য-সহ স্থানীয়দেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।"
প্রাথমিক তদন্তে পুলিসের অনুমান, জমি বিবাদের জেরেই এই মর্মান্তিক পরিণতি। খুনের নেপথ্যে পরিচিত কেউই জড়িত রয়েছে বলেই মনে করছে তদন্তকারীর বিশেষ দল। পুলিস সুপার মুকেশ জানিয়েছেন, "সমস্ত তথ্য প্রমাণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। " পাশাপাশি স্যোশাল মিডিয়ায় ভুয়ো খবর না ছড়ানোর অনুরোধ করেছেন পরিবার-সহ পুলিস সুপারও।
বৃহস্পতিবারই ঘটনাস্থল থেকে হাতে লেখা একটি নোট উদ্ধার করেছে পুলিস। নোটটি নিহত বিউটি পালের লেখা বলেই প্রাথমিকভাবে অনুমান। এই নোট দেখেই স্বামী-স্ত্রীর বিবাদের বিষয়টি পুলিসের সামনে এসেছে। তদন্তের স্বার্থে খোঁজ নেওয়া হয়েছে বন্ধুপ্রকাশ পালের পৈত্রিক ভিটেতেও। সবমিলিয়ে ঘটনার কিনাড়া পেতে কোমড় বেঁধে নেমেন পুলিস।
আরও পড়ুন: মানুষের মনে ভয় ঢুকে গিয়েছে, জিয়াগঞ্জে সিবিআই চেয়ে প্রতিক্রিয়া দিলীপের
উল্লেখ্য, বিজয়া দশমীতে জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কানাইগঞ্জ লেবুবাগানে একই পরিবারের ৩ জনকে নৃশংসভাবে হত্যা করে দুষ্কৃতীরা। দিনের আলোয় বাড়িতে ঢুকে খুন করা হয় স্কুল শিক্ষক বন্ধুপ্রকাশ পাল, তাঁর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী বিউটি মণ্ডল পাল ও তাঁর ৬ বছরের ছেলে বন্ধুঅঙ্গন পালকে। বন্ধুপ্রকাশ পাল তাদের সক্রিয় কর্মী বলে দাবি করেছে আরএসএস। যদিও রাজনৈতিক যোগসূত্রের কথা অস্বীকার করেছে মৃতদের পরিবার।
অন্যদিকে চারদিন কেটে যাওয়ার পরেও কোন ওসদুত্তর না মেলায় ইতিমধ্যেই রাজ্যের আইনশৃঙ্গলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যপাল-সহ বিরোধী মহল। পাল্টা তোপ দেগেছেন শাসকদলও।