নিজস্ব প্রতিবেদন: কার্যত এই প্রথমবার কোনও অশান্তি ছাড়াই নির্বিঘ্নে ওয়েস্টবেঙ্গল স্টেট ইউনিভার্সিটির সমাবর্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত হলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে আগামী ২৫শে ফেব্রুয়ারি সভাপতিত্ব করবেন বলে একটি টুইটও করেন রাজ্যপাল। লেখেন "আগামী দিনে কীভাবে বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় তা নিয়েও উপাচার্য ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকের সঙ্গে আলোচনার দিকে চেয়ে আছি।" এদিন মঞ্চে উঠে বক্তব্য রাখেন রাজ্য়পাল। বলেন, বলেন, তাঁর ও রাজ্য সরকারের মধ্যে যাবতীয় সংঘাতের প্রভাব বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর পড়ছে। তাই তিনি সেই দ্বন্দ্ব মেটানোর আপ্রাণ চেষ্টা করছেন এবং করবেন। এদিনের অনুষ্ঠানে রাজ্যপাল আরও বলেন যে, পশ্চিমবঙ্গে এখন সেই সময় এসেছে যখন এখানকার মানুষদেরও বুঝতে হবে কারও কোনও বিরুদ্ধ মত থাকলে সেই মতের ক্ষেত্রেও সৌজন্য দেখানো উচিত।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

যদিও অতীত অভিজ্ঞতা বলছে এখনও পর্যন্ত যতবার তিনি রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে গিয়েছেন, ততবারই একাধিক সমস্যায় পড়ছেন রাজ্য়পাল জগদীপ ধনখড়। পড়ুয়াদের বিক্ষোভের মুখে পড়ে প্রতিবারই পিছু হটতে হয়েছে তাঁকে। তা ঘিরে বিভিন্ন সময়ে ক্ষোভও প্রকাশ করেছেন তিনি। 


আরও পড়ুন: পুরভোট নিয়ে উভয় সংকটে রাজ্য বিজেপি, সমাধান অমিত শাহ এলেই!


ঘটনার সূত্রপাত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। একটি অনুষ্ঠানে এসে পড়ুয়াদের বিক্ষোভের সামনে পড়েন বাবুল সুপ্রিয়। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ধুন্ধুমার থেকে তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যান খোদ রাজ্যপাল। এরপরেই পড়ুয়াদের রোশ বাড়তে থাকে। এরপর থেকে যাদবপুর বা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় সমাবর্তনে আমন্ত্রণ জানানো হলেও শেষমেষ পড়ুয়া ও কর্মচারীদের একাংশের বিক্ষোভের জেরে সমাবর্তনে ঢুকতে পারেননি রাজ্যপাল।


একই ছবি দেখা যায় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনেও। রাজ্যপাল হাজির হলেও তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন ছাত্রছাত্রীরা। রণক্ষেত্রে পরিণত হয় চত্বর। অবশেষে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে যোগ না দিয়েই ফিরে যেতে বাধ্য হন তিনি। এখানেই শেষ নয় সম্প্রতি কোচবিহার পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয় সমাবর্তনকে কেন্দ্র করেও ফের বিতর্ক তৈরি হয়। মূলত বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন নিয়ে আচার্য হিসেবে তাকে জানানোই হয়নি বলে অভিযোগ আনেন খোদ রাজ্যপাল৷ যদিও এদিনের নজিরবিহীন সমাবর্তন দেখে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতের ইতি নিয়ে আশার আলো দেখছে বিভিন্ন মহল।